মঠবাড়িয়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় যুবলীগের সভাপতিসহ দুইজন জখম ।। ৬৭ নেতা কর্মীর নামে মামলা, গ্রেফতার-৯

Sharing is caring!

পিরোজপুর সংবাদদাতা >>
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় সোমবার রাতে প্রতিপক্ষের হামলায় উপজেলা যুবলীগের সভাপতিসহ দুইজন আহত হয়েছেন। হামলায় উপজেলা যুবলীগের অফিস ভাংচুর করা হয়। ঘটনার পরে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল সোহেল বাদি হয়ে ৬৭ নেতা কর্মীর নামে মামলা করেছেন। আসামীরা সবাই ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা কর্মী বলে জানা গেছে। ঘটনার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৯জনকে গ্রেফতার করে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করেছে। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
দলীয় অভ্যন্তরীন কোন্দল ও এলাকায় অধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
হামলার শিকার আহত যুবলীগ নেতাসহ দুই জনকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। এদিকে হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল সোহেল স্থানীয় প্রেসকাবে সংবাদ সম্মেলন করে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী গ্রæপেরে সমর্থন পূষ্ট নেতা কর্মীদের দায়ী করেছেন। এছাড়া মঙ্গলবার বিকালে হামলার প্রতিবাদে উপজেলার ১১ ইউনিয়নে যুবলীগের বিক্ষোভ মিছিল অব্যাহত আছে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক সেলিম মাতুব্বর জানান, গত রবিবার স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করার ঘটনায় ছাত্রলীগের ১৭ নেতা-কর্মীর নামে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। ওই ঘটনায় পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করে। এ নিয়ে বিবাধমান দুই গ্রæপ সোমবার বিকেলে পাল্টা পাল্টি প্রতিবাদ সমাবেশ করে। এক পর্যায় দুই গ্রæপের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে রাত ৭টার দিকে প্রতিপক্ষ একটি গ্রæপ হামলা চালিয়ে উপজেলা যুবলীগ সভাপতি হানিফ খানকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এছাড়া পৃথক হামলা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মী রানাকে আহত হয়। পরে হামলাকারীরা উপজেলা যুবলীগ অফিস ভাংচুর করে চলে যায়।
পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফি উদ্দিন আহম্মেদ ফেরদৌস হামলার ঘটনার সাথে তার সমর্থিত নেতাকর্মীদের জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার বলে জানান, বরিবারের একটি মারধরের ঘটনা ও থানায় মামলা দেওয়ার ঘটনায় সোমবার সন্ধ্যায় একই এলাকায় পাশাপাশি যুবলীগ ও ছাত্রলীগের দুটি আলাদা আলাদা প্রতিবাদ সভা চলছিল। এ সময় হঠাৎ করে উভয় গ্রæপের উত্তেজিত কিছু নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে যুবলীগ সভাপতি আহত হয়।
মঠবাড়িয়া থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল হক জানান, দলীয় অভ্যন্তরীন কোন্দলের জের ধরে হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় উপজেলা যুবলীগ সভাপতিসহ দুই জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে। পৌর শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে।
উল্লেখ্য, মঠবাড়িয়া উপজেলায় দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের মধ্যে অভ্যন্তরীন কোন্দল লেগে আছে। উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও মঠবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র রফিউদ্দীন আহম্মেদ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফুর রহমান সমর্থিত গ্রæপ এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক সেলিম মাতুব্বর সমর্থিত গ্রæপের মধ্যে কোন্দল রয়েছে। এর জের ধরে উপজেলা যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে কোন্দল চলছে।

Sharing is caring!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

YouTube
error: Content is protected !!