মঠবাড়িয়ায় রোগীর শরীরে দেওয়া হলো ভিন্ন গ্রুপের রক্ত
মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি >>
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় শাফা বন্দর একটি বেসরকারি ক্লিনিকে এক গৃহবধূর শরীরে রক্তের ক্রস ম্যাচিং ছাড়াই দেওয়া হয়েছে অন্য গ্রুপের রক্ত। এতে গুরুতর অবস্থায় ওই রোগী গত দুই দিন ধরে খুলনার গাজী মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে রোগীর স্বজন ও উপস্থিত জনতা মিলে ওই ক্লিনিকের মেডিকেল টেকনলোজিস্ট সমিউল আলমকে মারধোর করে।
ভুল চিকিৎসার শিকার সুরমা বেগম (২৬) উপজেলার তেতুলবাড়ীয়া গ্রামের মোস্তফা বিশ্বাসের স্ত্রী।
গৃহবধূ সুরমার ভাই মনির হোসেন জানান, বোনের চিকিৎসার জন্য শুক্রবার তাকে সাফা বাজার এলাকার মনির হোসেন সার্জিক্যাল ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়। পরীক্ষা নিরীক্ষা করে চিকিৎসক রোগীকে রক্ত দেওয়ার কথা বলেন। ক্লিনিকে পরীক্ষা শেষে তার রক্তের গ্রুপ ‘বি-পজিটিভ’ শনাক্ত করে স্বজনদের এই গ্রুপের রক্তের বন্দোবস্ত করতেবলা হয়। পরে সোমবার দুপুরে রোগীর স্বজনরা রক্তদাতাকে নিয়ে আসলে ‘ক্রসম্যাচ’ না করেই সুরমাকে রক্ত দেওয়া হয়। রক্তদান শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যে রোগীর অবস্থার অবনতি হলে স্বজনরা তার রক্ত দেওয়া বন্ধ করে দেন। পরে রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা করে জানা যায়, সুরমার রক্তের গ্রুপ ‘ও-পজিটিভ’। সেই রাতেই গুরুতর অবস্থায় সুরমাকে নিয়ে খুলনায় বেসরকারি গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
বর্তমানে ঢাকা থেকে পরীক্ষার একটি রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত চিকিৎসকরা রোগীর অবস্থা সম্পর্কে কিছুই স্পষ্ট করে বলছেন না বলে জানান সুরমার ভাই।
ক্লিনিকের মালিক মনির হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেন, রোগী ও তার স্বজনরাই জানিয়েছিল যে রোগীর রক্তের গ্রুপ ‘বি-পজিটিভ’। রক্তের ক্রস ম্যাচিংও মিলে গিয়েছিল বলে তিনি জানান।