মঠবাড়িয়ায় ট্রিপল মার্ডারের রহস্য উদঘাটন, মাষ্টার মাইন্ড কিলার ওলিসহ গ্রেফতার-২
মঠবাড়িয়া সংবাদদাতা >>>
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ভাড়া বাসায় স্বামী-স্ত্রী ও সন্তান খুনের ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। সেই সাথে হত্যাকান্ডে জড়িত দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে হত্যার কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র ও লুটকৃত কিছু নগদ টাকা। গ্রেফতারকৃত মাষ্টারমাইন্ড কিলার উপজেলার ধানীশাফা গ্রামের মৃত. তোজাম্বর আলীর ছেলে অলি বিশ^াস (৩৮) ও তার সহযোগী একই গ্রামের কাওসার বেপারীর ছেলে রাকিব বেপারী।
আজ শনিবার রাতে মঠবািিড়য়া থানায় অনুষ্ঠিত এক প্রেস ব্রীফিংয়ে পিরোজপুর জেলা পুলিশ সুপার মো. হায়াতুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রেস ব্রীফিংয়ে জানানো হয়, মঠবাড়িয়া উপজেলার ধানীসাফা গ্রামের অটোচালক মো. আয়নাল হকের ভাড়া বাসায় টাকা ও স্বর্ণ লুটের উদ্দ্যেশে একই গ্রামের অলি বিশ^াস ও তার তিন সহযোগি মিলে গত ৩০ জুলাই রাতে হানা দেয়। তারা সিঁদ কেটে ঘরে ঢুকে বাসার মালামাল তছনছ শুর করে। এসময় গৃহকর্তা অটোচালক চার দুর্বত্তকে চিনে ফেলায় অটোচালক আয়নাল হক ও তার স্ত্রী আমেনা বেগম খুকুমণিকে শ্বাসরোধে হত্যা করে তাদের লাশের হাতপা বেঁেধ আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রাখে। এসময় ঘর থেকে দুর্বৃত্তরা বের হয়ে আসার সময় ওই দম্পতির তিনবছরের শিশু কণ্যা আশফিয়াকেও শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যায়। পরদিন পুলিশ তিনজনের বসতঘর হতে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।
এ চাঞ্চল্যকর তিন খুনের ঘটনায় নিহত আয়নাল হক এর শ্বশুর উপজেলার চিত্রা গ্রামের আবুল কালাম সর্দার বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামী করে মঠবাড়িয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ তিন খুনের ঘটনা দ্রæত তদন্তে আইনশৃংখলাবাহিনীর চার সংস্থা সিআইডি, পিবিআই,র্যাব ও ডিবির একদল গোয়েন্দা হত্যার রহস্য উদঘাটনে তদন্ত শুরু করে। ঘটনার ১০দিনের মাথায় তদন্তে হত্যাকাÐের রহস্য উদঘাটন করে আইনশৃংখলা বাহিনী। আজ শনিবার হত্যাকাÐের মূল হোতা একই গ্রামের তোজাম্বর বিশ্বাসের ছেলে অলি বিশ্বাস(৩৮)কে গ্রেফতার করে। এরপর তার গ্রামের বাড়িতে তাকে নিয়ে পুলিশ অভিযান চালায়। তার কথিত মতে বাড়ির পুকুর হতে হত্যাকাÐে ব্যবহৃত ২টি লোহার পাইপ, একটি রামদাও ও লুণ্ঠিত কিছু অর্থ উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় তার অপর এক সহযোগি একই গ্রামের কাওসার বেপারীর ছেলে রাকিব বেপারী(২০)কেও গ্রেফতার করে পুলিশ। তারা এ হত্যাকাÐের দায় স্বীকার করে পুলিশের কাছে।
পিরোজপুর জেলা পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান বিষযটি নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের বলেন- এ চাঞ্চল্যকর হত্যাকাÐের রহস্য উদঘাটনে মঠবাড়িয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসান মোস্তফা স্বপনের নেতৃত্বে র্যাব, সিআইডি, পিবিআই, ডিবিসহ থানা পুলিশের ৫টি টিম মাঠে সার্বণিক কাজ করে। হত্যার মূল হোতাসহ দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি দুই সহযোগিকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।