মঠবাড়িয়ায় দুই শিক্ষার্থীর বাল্যবিয়ে পণ্ড, বর-কনের পরিবারকে অর্থদণ্ড !
মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) সংবাদদাতা>>
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ঈদের ছুটি ও লকডাউন এর সুযোগে অষ্টম শ্রেণী পড়–য়া এক মাদ্রাসা ছাত্রী ও ৬ষ্ঠ শ্রেণী পড়–য়া এক স্কুল ছাত্রীর বিয়ের আয়োজন করেছিলো দুই পরিবার । প্রশাসন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ওই দুই শিক্ষার্থীর বাল্য বিয়ে পণ্ড করে দেন। পরে পৃথক দইটি ভ্রাম্যমমান আদালতে বর-কনে দুই পরিবারকে অর্থদণ্ডাদেশ দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উর্মী ভৌমিক ও সহকারি কমিশনার(ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আকাশ কুমার কুন্ডু।
জানা গেছে, উপজেলার দক্ষিণ মিঠাখালী কাচিছিড়া গ্রামের সৌদি প্রবাসি মো. মোস্তফা খলিফার মেয়ে ও স্থানীয় দক্ষিণ মিঠাখলী ওহাবিয়া দাখিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী সুমাইয়া আক্তার(১৪) এর সাথে পার্শ্ববর্তী বরগুনার পাথারঘাটা উপজেলার হাতেমপুর গ্রামের আফজাল খান এর ছেলে সাইফুল ইসলাম এর সাথে সোমবার দুপুরে বিয়ের আয়োজন করা হয়। সোমবার দুপুরে বরের পক্ষের শতাধিক মেহমান কনের বাড়িতে উপস্থিত হয়। খাওদাওয়া শুরু হলে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মনিকা আক্তার, স্থানীয় সাংবাদিক ইসরাত জাহান মমতাজ, রফিকুজ্জামান আবীরসহ থানা পুলিশ বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হয়ে বাল্য বিয়ে বন্ধ করে দেন। পরে পুলিশের সহযোগীতায় বর ও কনের ভগ্নপতি সুমন মিয়াকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে হাজির করা হয়। এসময় উপজেলরা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে দুই পক্ষকে ১২ হাজার টাকা জরিমানা ও মুচলেকা নিয়ে দুই পরিবারের বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দেন।
অপর দিকে উপজেলার, ধানীসাফা গ্রামের স্থানীয় সাফা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণী পড়–য়া স্কুল ছাত্রী মৌসুমী বেপারীর সাথে একই গ্রামের ফকর উদ্দিন বেপারীর ছেলে ইয়াসিন বেপারীর সাথে বিয়ের গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে দুই পরিবার। পরে উপজেলা সহকারি কমিশনার(ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আকাশ কুমার কুন্ডু টনাস্থলে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে কনের মাকে চার হাজার টাকা ও বরের মাকে তিন হাজার টাকা অর্থদÐাদেশ দিয়ে মুচলেকা রেখে বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দেন।
এ বিষয়ে মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উর্মী ভৌমিক বলেন, চলমান লকডাউন ও ঈদের ছুটি সুযোগে বাল্যবিয়ে আয়োজন করা হচ্ছিল। চলতি মাসে মোট বেশ কয়েকটি বাল্যবিয়ে প্রশাসন বন্ধ করে দিয়েছে। এ অভিযান অব্যহত থাকবে।