মঠবাড়িয়ায় বাল্যবিবাহ পণ্ড, বরের বাবার ১০ হাজার টাকা জরিমানা
মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি :
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে উপজেলার টিকিকাটা ভেচকি গ্রামে ৯ম শ্রেণির এক মাদ্রাসা ছাত্রীর বাল্যবিবাহ পণ্ড হয়েছে। বুধবার দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মনিকা আকতার পুলিশের সহযোগিতায় কনের বাড়িতে গিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠান পÐ করে দেন। এ সময় কনে অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় বর ও কনের বাবা মাকে ভ্রাম্যমাণ আদালত হাজির করা হয়। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিপন বিশ^াস ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে বরের বাবা মোতালেব হোসেন সরদারকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করেন। একই সাথে বাল্যবিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজনের অপরাধে কনের মা ও বাবার কাছ থেকে মেয়ের ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে না-দেওয়ার সর্তে মুচলেকা নেওয়া হয়।
জানা গেছে, উপজেলার টিকিকাটা ইউনিয়নের উত্তর ভেচকি গ্রামে বাক প্রতিবন্ধি শিপন খানের মেয়ে ৯ম শ্রেণিতে পড়–য়া মাদ্রসা ছাত্রী নিপা আকতারের (১৪) সাথে ডৌয়াতলা গ্রমের মোতালেব সরদারের ছেলে মনোয়ার হোসেন (২৮) এর সাথে বিয়ের অনুষ্ঠান চূড়ান্ত করে উভয়ের পরিবার। বুধবার অনুষ্ঠান নির্ধারিত থাকায় দুপুরে কনের বাড়িতে চলছিল রান্নার আয়োজন। চুলায় হাড়ি বসিয়ে মাংস ও অন্যান্য পদের রান্নার কাজ করছিল। দুপুরে বড় যাত্রীও এসে পৌছায় কণের বাড়িতে। এমন সময় গোপন সংবাদ পেয়ে ওই বাড়িতে হাজির হন পুলিশের একটি দলসহ উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মনিকা আকতার। এসময় রান্নাবান্না সহ বিয়ের যাবতীয় অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। পরে বড় পক্ষ ও কনে পক্ষকে ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির করলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে কনে অপ্রাপ্ত বয়স হওয়ার অপরাধে বিয়ের আয়োজনকারী বরের বাবাকে এ অর্থদণ্ড প্রদান করেন।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিপন বিশ্বাস জানান, ওই মাদ্রসা ছাত্রী ১৪ বছর বয়সী। বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ অনুসারে বর পকে জরিমানা করে তা নগদ আদায় করা হয়। একই সাথে অভিভাবকদের কাছ থেকে ওই ছাত্রীকে ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার পূর্বে বিয়ে দেবেন না বলেও মুচলেকা নেওয়া হয়েছে।