বলেশ্বরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপর হামলার ঘটনায় থানায় মামলা
মঠবাড়িয়া সংবাদদাতা >>
পিরোজপুরের তুষখালী সংলগ্ন ভাÐারিয়ার তেলিখালীতে মঙ্গলবার জাটকা সংরক্ষণ কার্যক্রমের ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটসহ কোস্টগার্ড, পুলিশ ও মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তাদের উপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। সরকারি কাজে বাঁধাদান, মৎস্য রক্ষা ও সংরক্ষণসহ বিভিন্ন ধারায় স্থানীয় তিন জেলে ও ২৫/৩০জন অজ্ঞাত সংখ্যক গ্রামবাসীকে এ মামলায় আসামী করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার মাছ ধরার অবৈধ জাল জব্দ করতে গিয়ে মৎস্য বিভাগ, ম্যাজিস্ট্রেট, কোস্টগার্ড ও পুলিশ ভাÐারিয়ার হরিণপালা গ্রামে জেলেদের হামলার কবলে পড়ে এবং এ সময় জীবন রক্ষায় কোস্টগার্ডকে বাধ্য হয়ে ২৩ রাউন্ড গুলি ছুড়তে হয়। জেলার মঠবাড়িয়ার সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হকের দায়ের করা মামলায় ভাÐারিয়ার তেলিখালী ইউনিয়নের হরিণপালা গ্রামের মোহাব্বত আলীর ছেলে মোতালেব হাওলাদার (৫৫), আব্দুল আজিজের ছেলে জসিম (২৮) ও শাহীন (পিতা অজ্ঞাত) নামে এই তিনজন নামধারী আসামী। জেলেদের হামলার ঘটনার প্রায় ৩৬ ঘন্টা পর এ মামলা হয়। এই সুযোগে হরিণপালাসহ ভাÐারিয়ার তেলিখালী ও মঠবাড়িয়ার তুষখালী ইউনিয়নের জেলেরা আজ বুধবার দিনভর কানার মুখে (বলেশ^র ও কঁচানদীর সঙ্গম স্থল) তুলাতলা, কাটাখালী অবৈধ জাল দিয়ে মাছ ধরার মহোৎসবে মেতে উঠে। এ সময় ধরা পড়া প্রচূর মাছ আশেপাশের বাজারে পানির দরে বিক্রি হতে দেখা যায়।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহলের সরাসরি মদদে অবৈধ মাছ ধরার এ ঘটনা ঘটেছে এবং অতীতেও মৎস্য আইনকে অমান্য করে এই নদীতে মাছ ধরার এই বেআইনী কাজ চলছিলো। এই বেআইনী তৎপরতা বন্ধ করতে পিরোজপুরের জেলা টাস্কফোর্সের জাটকা সংরক্ষণের কার্যক্রম পরিচালনায় ভ্রাম্যমাণ আদালত গত মঙ্গলবার ভাÐারিয়ার তেলিখালী ও মঠবাড়িয়ার তুষখালী এলাকায় অভিযান চালাতে যায়। মঠবাড়িয়া উপজেলার বলেশ^র নদীর জানখালী ও ছোট মাছুয়ার বিভিন্ন এলাকায় প্রথমে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অবৈধ জাল জব্দ করা হয়। এরপর ভাÐারিয়ার তেলিখালীর পোনানদীর তীরে হরিণপালা জেলে পাড়ায় অভিযান পরিচালনা কালে টাস্কফোর্স জেলেদের হামলার শিকার হয়। জেলেরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কোস্টগার্ড ও পুলিশসহ ভ্রাম্যমান আদালত ও মৎস্য কর্মকর্তাদের উপর হামলা করলে বাধ্য হয়ে ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে কোস্টগার্ড ২৩ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। এ সময় মহিলাসহ ৪/৫ জন জেলে ও ৫/৬জন গ্রামবাসী আহত হয়েছে বলে দাবী করা হয়েছে। অন্যদিকে জেলেদের হামলায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের পেশকার আবুল কাশেম আহত হন।