মঠবাড়িয়া সদর ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক জমি দখল ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রাণির অভিযোগ

Sharing is caring!

মঠবাড়িয়া  সংবাদদাতা >>
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া সদর ইউপি চেয়ারম্যান এবিএম ফারুক হাসান কর্তৃক দরিদ্র একটি পরিবারের ওপর নির্যাতন,জমি জবরদখল ও সাজানো মামলা দিয়ে হয়রাণি অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় উত্তর মিঠাখালী গ্রামের কৃষক আনোয়ারুল ইসলামের স্ত্রী শিল্পী বেগম বুধবার মঠবাড়িয়া প্রেস কাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।

লিখিত অভিযোগে গৃহবধূ শিল্পী বেগম অভিযোগ করেন, মঠবাড়িয়া সদর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড উত্তর মিঠাখালী গ্রামে তার স্বামী আনোয়ারুল ইসলামের পৈত্রিক ৯ কাঠা জমিতে আমরা বংশানুক্রমে বসবাস করে আসছেন। মঠবাড়িয়া সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফারুক হাসান দীর্ঘদিন ধরে আমাদের বসতির জমি দখল করে আমাদের উচ্ছেদের অপচেষ্টা চালিয়ে আসছে। ২০০৯ সালে চেয়ারম্যান ও তার সন্ত্রাসী দলবল মাঝেরপুল বাজার সংলগ্ন ৫ কাঠা জমি তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে জবর দখল করে রাতের আঁধারে সেখানে ঘর উত্তোলন করেন। এ নিয়ে মামলা মোকদ্দমা বর্তমানে আদালতে চলমান। চেয়ারম্যানের হুমকী ধামকি ও প্রাণনাশের ভয়ে ওই জমি উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছেনা। সর্বশেষ, গত ০২/০৬/২০২০ ইং তারিখ দুপুর ১২টার দিকে চেয়ারম্যান ফারুক হাসান তার তিন সহযোগিরা মিলে বাড়ির সীমানা বেড়া ভাংচুর শুরু করে । বাঁধা দিতে গেলে চেয়ারম্যানের নির্দেশে তার স্বামী আনোয়ারুল ইসলামকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে ওই দিন চেয়ারম্যান ফারুক হাসান থানায় উল্টো সাজানো মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় পুলিশ আমার স্বামী আনোয়ারুলকে কোনও সুষ্ঠু তদন্ত ছাড়াই গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠায়। বর্তমানে পরিবারটি নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন বলে দাবি করেছেন।

এ বিষয়ে মঠবাড়িয়া সদর ইউপি চেয়ারম্যান এবিএম ফারুক হাসান তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য নয় এবং বিরোধীয় সম্পত্তি পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া বলে তিনি দাবি করেন।

Sharing is caring!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

YouTube
error: Content is protected !!