মঠবাড়িয়া কে, এম লতীফ ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

Sharing is caring!

মঠবাড়িয়া  সংবাদদাতা >>>
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী কে, এম লতীফ ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতিসহ স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার দুপুরে স্থানীয় একটি রেস্তোরার হল রুমে বিদ্যালয়ের ২০ জন শিক সংবাদ সম্মেলন করে প্রধান শিকের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতি সহ ২২ টি অভিযোগ আনেন।

সহকারি প্রধান শিক মোঃ খলিলুর রহমান লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করেন, ২০১৭ সালের ৬ ফেব্রæয়ারী বর্তমান প্রধানশিক মোস্তাফিজুর রহমান যোগদানের পর থেকে শিকদের সাথে অসৌজন্য আচরণসহ বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করে আসছেন। তিঁনি গত ১৯ মাস ধরে শিদের স্কুল প্রদেয় বেতন- ভাতাদি স্থগিত করে রেখেছেন। বর্তমান করোনা কালে শিকরা বিদ্যালয় হতে ভাতাদি না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

বিদ্যালয়ের অর্থে নির্মিত কে এম লতীফ সুপার মার্কেটে ৬৫০ টি দোকান বরাদ্দ বাবদ স্টল প্রতি আড়াই লক্ষ থেকে সারে তিন ল টাকা নেয়া হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য আয় সহ বিদ্যালয়ের ফান্ডে আনুমানিক ১০ কোটি টাকা গচ্ছিত থাকার কথা। যা এখন প্রায় শূণ্যের কোঠায়। গত বছর সংস্কৃতি মন্ত্রনালয়ের প্রদেয় অনুদান দুই ল টাকা ও একই বছর একটি বেসরকারি সংস্থার প্রশিক্ষণ খরচ বাবদ ৬০ হাজার টাকা, চলতি বছরের বিদ্যালয়ের ম্যাগাজিন প্রকাশ বাবদ ৩ ল ২১ হাজার টাকার বিল ভাউচার প্রদর্শন করে অর্থ অপচয় করেন। এছাড়া বিদ্যালয়ের বিদ্যালয়য়ে নেটিজেন নামে একটি আইটি প্রতিষ্ঠানকে লাখ লাখ টাকা প্রদানের বিল ভাউচার হলেও পূর্নাঙ্গ সুবিধা মেলেনি। তিনি বিভিন্ন সময় বিদ্যালয়ের জাতীয় করনের মামলার নামে বিদ্যালয়ের ১৮ ল টাকা অপচয় করেন।সম্প্রতি শিার্থী ও অভিভবকদের সাথে অশোভন আচরণ করায় প্রধান শিকের অপসারণ দাবিতে একাধিক বার ছাত্র আন্দোলন সংঘটিত হয়। বর্তমানে প্রধান শিকের অনিয়ম ও সেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতির কারনে ঐতিহ্যবাহী শিা প্রতিষ্ঠানটির সুনাম ও শিার পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে। এঅবস্থায় প্রধান শিককের অপসারণ করে বিদ্যালয়ের সুষ্ঠ পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবী জানান শিকরা ।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিদ্যালয়ের সাবেক শিক অমল চন্দ্র হালদার, বর্তমান সহকারী শিক মোঃ নুর হোসেন ও মোঃ এনামুল হক প্রমুখ।

এ ব্যাপারে প্রধান শিক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বিদ্যালয়ের অর্থ খরচ আমার একার আওতাভুক্ত নয়। সকল খরচের ভাউচার সংরতি আছে। এছাড়া বিদ্যালয়ের আয়ের চেয়ে ব্যায় বেশী হওয়ায় তৎকালীন মানেজিং কমিটি সভা করে শিক্ষক কর্মচারী বেতন ভাতা বন্ধ করেছেন। এতে আমার কোন সংশ্লিষ্ঠতা নেই।

Sharing is caring!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

YouTube
error: Content is protected !!