মঠবাড়িয়ায় ভুয়া মেজর ও বিয়ের ঘটক গ্রেফতার
মঠবাড়িয়া সংবাদদাতা >>
পিরোজপুরের মঠাড়িয়ায় সেনাবাহিনীর মেজর পরিচয় দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে এক কলেজ ছাত্রীকে বিয়ে করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মাসুম চৌধুরী আপন (৩৭) নামের এক প্রতারক ও বিয়ের ঘটক এক নারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার বিকালে প্রতারণার শিকার ওই কলেজ ছাত্রী বাদি হয়ে ভুয়া মেজর ও বিয়ের ঘটককে আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
প্রতারক ভুয়া মেজর মাসুমের বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর থানার পূর্বপাড়া গ্রামে। সে ওই গ্রামের মৃত মজিবর রহমানের ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, গত অক্টোবর মাসে ঘটক সেলিনা বেগম সেনাবাহিনীর ভূয়া মেজর প্রতারক মাসুমকে নিয়ে ওই কলেজ ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে অভিভাবকদের কাছে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। এ সময় মাসুম নিজেকে সেনাবাহিনীর মেজর পরিচয় দিয়ে তার দুই বোন ডাক্তারি পেশায় নিয়োজিত বলে জানান। এতে ওই কলেজ ছাত্রীর পরিবারের লোকজন বিয়েতে রাজি হয়ে যায়। পরে ১ নভেম্বর ঢাকা যাত্রাবাড়ির অজ্ঞাতনামা একটি কাজী অফিসে বসে তাদের বিবাহ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। বিয়েরপর গত ৬ নভেম্বর ভূয়া মেজর ওই কলেজ ছাত্রীকে নিয়ে শ্বশুর বাড়ি মঠবাড়িয়াতে বেড়াতে আসেন। সেখানে চাকুরিতে প্রমোশনের কথা বলে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের কাছে ৪ লাখ টাকা দাবী করেন। শ^শুর বাড়ি থেকে দুই লাখ টাকা দেবার পরে তার কথাবার্তা সন্দেহজনক হলে থানা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মেজর পরিচয়দানকারী মাসুমকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে কোন সদুত্তর দিতে না পাড়ায় আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
মঠবাড়িয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ইব্রাহীম মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মাসুম একজন প্রতারক। সে সেনাবাহিনীর মেজর পরিচয় দিয়ে ওই কলেজ ছাত্রীকে বিয়ে করলেও পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে কখনো সিকিউরিটি গার্ড আবার কখনো নিজেকে জুট ব্যবসায়ী বলে দাবী করেন। মেজর পরিচয়দানকারী মাসুম ও ঘটক সেলিনাকে রবিবার বিকালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।