মঠবাড়িয়ায় বেরিবাঁধের পাড়ে সৃজিত গাছ কেটে প্রভাবশালীদের আত্মসাত, গ্রামবাসির প্রতিবাদ
মঠবাড়িয়া সংবাদদাতা :
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় উপকূলীয় সবুজ বেষ্টনী প্রকল্পের আওতায় বেড়িবাঁধের দুই পাড়ে সৃজিত কয়েকশত গাছ সংঘবদ্ধ প্রভাবশালীরা কেটে নিয়ে আত্মসাত করেছেন। গ্রামবাসিদের অভিযোগ বেরিবাঁধ লাগোয়া খাল খননের নামে সংঘবদ্ধ একটি চক্র চার শতাধিক বিভিন্ন বনজ গাছ কেটে আত্মসাত করে । এতে বাঁধা দিলে সৃজিত বৃক্ষের উপকারভোগিদের ওপর হামলার চালায় সংঘবদ্ধ প্রভাবশালীরা । এ ঘটনায় উপজেলা বনবিভাগে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে কোন প্রতিকার না পেয়ে মঙ্গলবার দুপুরে বিক্ষুব্ধ উপকারভোগি ও গ্রামবাসি মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন।
অভিযোগে জানা গেছে, ২০০০ সালে উপকূলীয় সবুজ বেষ্টনী প্রকল্পের আওতায় মঠবাড়িয়ার হোতখালী বেড়িবাঁধের দুই পাড়ে ২৫ হাজার বৃক্ষ রোপন করে। এ বেরিবাঁধ সুরক্ষায় রেইনিট্র, নিম, তুলা, বকুল, গামার ও গর্জণ গত ২০ বছরে বেড়ে ওঠে। এলাকার ৫০ জন উকারভোগি এসব গাছ টানা ২০ বছর ধরে পরিচর্যা ও সুরক্ষা করে আসছিলেন। সম্প্রতি বেড়িবাঁধ সংলগ্ন একটি খাল খননের নামে ওই বেড়িবাঁধে সৃজিত প্রায় ৪০০ গাছ স্থানীয় একটি সংঘবদ্ধ প্রভাশালীরা মিলে জবরদস্তি কেটে নিয়ে খুলনা মোকামে পাচার করে দেয়। ওই সময় দুই উপকারভোগি কমিটির সদস্য হেমায়েত হাওলাদার ও হারুন জমাদ্দার গাছ কাটার প্রতিবাদ জানালে তাদের পিটিয়ে আহত করা হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার গুলিসাখালী ইউনিয়নের হোতখালী খালের এক দেড় কিলোমিটার বেড়িবাধেঁর আশপাশ জুড়ে কর্তনকৃত অসংখ্য গাছের গোড়া ও মাটির নিচে লুকিয়ে রাখা বিভিন্ন সাইজের গাছের গুড়ি ।
এ বিষয় মঠবাড়িয়া উপজেলা বনবিভাগ কর্মকর্তা মো. ফকর উদ্দিন বলেন, এ উপজেলায় প্রায় ৫০০ কিলোমিটার সৃজিত উপকূলীয় সবুজ বেষ্টনী প্রকল্পের আওতায়। আমার দপ্তরে জনবল কম থাকায় একার পক্ষে সব দেখভাল করা সম্ভব নয়। গাছ কাটার বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের চিিহ্নত করে বন ও পরিবেশ আইনে মামলা দায়েরের প্রস্ততি নেওয়া হয়েছে।