মঠবাড়িয়া কে এম লতিফ ইনস্টিটিউশন খোলার দিনেই শিক্ষক বিরোধ চরমে – শিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত!
নিউজ ডেস্ক : কোভিড-১৯ এ দীর্ঘ ছুটির পর সরকারের নির্দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার প্রথম দিন মঠবাড়িয়া শহরের ঐতিহ্যবাহী কেএম লতিফ ইনষ্টিটিউশনে প্রধান শিক্ষকের সাথে সহকারী প্রধান ও সহকারী শিক্ষকদের বিরোধ চরম আকার ধারণ করেছে। সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. খলিলুর রহমানের নেতৃত্বে বিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষক শক্ত অবস্থানে থাকায় ক্যাম্পাসে প্রথম দিনে ঢুকতে পারেননি প্রধান শিক্ষক মো. মোস্তাফিজুর রহমান। দু’গ্রæপ শক্ত অবস্থানে থাকায় বিদ্যালয়ের প্রায় আঠার‘শ শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও সচেতন মহলের মাঝে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।
এদিকে রবিবার রাতোলয়ের উদ্বুদ্ধ এ পরিস্থিতিতে একে অপরকে দায়ী করে উভয় পক্ষ পাল্টা পাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
জানাযায়, দক্ষিণা লের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কেএম লতিফ ইনষ্টিটিউশনে ২০১৭ সালে মো. মোস্তাফিজুর রহমান প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকেই সহকারী প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরনসহ নানা অভিযোগে প্রধান শিক্ষকের সাথে দুরত্ব সৃষ্টি হয়।
গত ২০২০ সালে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি গঠন নিয়ে এ বিরোধ চরম আকার ধারণ করে। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কর্মরত শিক্ষকদের তুমুল আন্দোলন চললেও করোনা ছুটিতে তাদের কর্মসূচি স্তগিত থাকে। করোনায় ১৭ মাস বন্ধ থাকার পর রবিবার খোলার দিন প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয় ঢুকতে না পেরে এক সংবাদ সম্মেলন প্রধান শিক্ষক মো. মোস্তাফিজুর রহমান লিখিত বক্তব্যে বলেন, মহামারী করোনার ছুটি শেষে দীর্ঘ ৫৪৪ দিন পর (প্রায় দেড় বছর) বিদ্যালয় খুললেও আমি বিদ্যালয় ঢুকতে পারিনি। সহকারী প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমান সম্পূর্ণ অবৈধভাবে আমাকে অপসারণ করে প্রধান শিক্ষকের চেয়ারে বসার চেষ্টা করছেন। সহকারী প্রধান শিক্ষকসহ কতিপয় শিক্ষকের হুমকির কারনে তিনি বিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারছেননা এবং নিরাপত্তার কারণে পরিবার পরিজন নিয়ে অনত্র বসবাস করছেন।
অপর দিকে ওই দিন রাতে সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. খলিলুর রহমানের নেতৃত্বে ২৯জন শিক্ষক ও ৩জন কর্মচারী বিদ্যালয় মিলনায়তনে এক পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে তাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেন। লিখিত বক্তব্যে সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. খলিলুর রহমান প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্বে বিদ্যালয়ের তহবিল তছরুপসহ নানা অনিয়ম ও দূনীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন।
বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক জানান, ২০২০ সালের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শিক্ষকদের মধ্যে বিভাজন তৈরি হয়। এরপর অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ নিয়ে আন্দোলন কর্মসূচিতে বিদ্যালয়ের লেখাপড়ার পরিবেশ বিঘিœত হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অঃ দাঃ) বশির আহমেদ জানান, প্রধান শিক্ষক মোস্তফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগের তদন্ত চলছে। যাথাযথ কতৃপক্ষ তাঁকে অব্যহতি দেননি তাই তার বিদ্যালয়ে আসার অধিকার রয়েছে।