মঠবাড়িয়ায় কে.এম.লতীফ ইনস্টিটিউশনের সহকারি প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ

Sharing is caring!

নিউজ ডেস্ক : মঠবাড়িয়া সদরে ১৯২৮ সালে প্রতিষ্ঠিত উচ্চ বিদ্যালয়টি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে সকলের নিকট পরিচিত। বিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শিক্ষক পরিষদের ব্যাংকের টাকা, শিক্ষক-কর্মচারীদের ভবিষ্যৎ তহবিলের ও বিদ্যালয়ের মার্কেটের ছয়শত স্টলের ভাড়ার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি প্রধান শিক্ষকের অফিস কক্ষের দরজা লোহা ও কাঠ দিয়ে বন্ধকরে রাখাসহ ১৫টি অভিযোগ এনে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোস্তাফিজুর রহমান শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষাসচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, স্থানীয় সাংসদ ও জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, মঠবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী কে.এম.লতীফ ইনস্টিটিউশনে প্রধান শিক্ষক পদে মোস্তাফিজুর রহমান ২০১৭ সালে ৬ ফেব্রæয়ারী যোগদান করেন। তিনি যোগদানের পর থেকে সহকারি প্রধান শিক্ষক তাকে সহযোগীতা না করে তৎকালীন ম্যানেজিং কমিটির কাছে মনগড়া ও কাল্পনিক অভিযোগ দেন। ওই অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ায় ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা বিষয়টি মিমাংশা করে দেয়। পরবর্তীতে সহকারি প্রধান শিক্ষক মোঃ খলিলুর রহমান ২০২০ সালে ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শিক্ষকদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করে নিজে প্রধান শিক্ষক হবার বাসনা নিয়ে তাকে নানা ভাবে হয়রানি করে বাসভবন ও বিদ্যালয় থেকে জোরপূর্বক অপসারণ করে।

পরে চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারী সহকারি প্রধান শিক্ষক মো. খলিলুর রহমান বৈধ কমিটি না থাকায় অবৈধ ভাবে সঘোসিত ভাবে নিজে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব গ্রহন করেন। এ সুযোগ নিয়ে তিনি শিক্ষক পরিষদের ব্যাংক অপারেটর পরিবর্তন ও ভূয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ, শিক্ষক-কর্মচারীদের ভবিষ্যৎ তহবিলের টাকা ভুয়া রেজুলেশনের মাধ্যমে বিধি বহির্ভূতভাবে উত্তোলন, বিদ্যালয়ের প্রায় ছয়শত স্টলের ঘর ভাড়ার টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে আত্মসাৎসহ অবৈধভাবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সেজে সরকারি বেতন-ভাতার বিল উত্তোলনের অপচেষ্টাসহ ১৫টি অভিযোগ আনেন।

এব্যাপারে সহকারি প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, টাকা রশিদের মাধ্যমে ব্যাংকে জমা হয়। টাকা আত্মসাৎ করা আমার একার পক্ষে কোন সুযোগ নেই।

পিরোজপুর জেলা শিক্ষা অফিসার মো. ইদ্রিস আলী আজিজি বলেন, অভিযোগ পত্র আমার দপ্তরে আসেনি। পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Sharing is caring!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

YouTube
error: Content is protected !!