আবেদন খারিজের ৪ ঘণ্টার মধ্যে জামিন পেলেন আউয়াল দম্পতি
পিরোজপুর প্রতিনিধি >>
পিরোজপুরের সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম এ আউয়াল ও তার স্ত্রীর লায়লা পারভীনের দুদকের একটি মামলায় জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে দুপুর ১২টায় তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আবদুল মান্নান। কিন্তু এর চার ঘণ্টা পরই জামিন পেয়েছেন এই দম্পতি।
ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ নাহিদ নাসরিনের আদালতে জামিন বাতিলের আদেশ পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন জানানো হলে শুনানি শেষে আজ মঙ্গলাব বিকেল ৪টায় বিচারক তাদের দুই মাসের জামিন মঞ্জুর করেন।
জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল হক খান পান্না বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘সাবেক এমপি এ কে এম এ আউয়ালের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) যে মামলা করেছে তাতে কোনো ক্রিমিনাল অফেন্স না থাকায় আমরা জামিনের আবেদন করি।
শহিদুল হক আরও বলেন, ‘কিছু পরেই আমরা জানতে পারি জেলা ও দায়রা জজ আবদুল মান্নানের স্থলে ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ হয়েছেন দ্বিতীয় যুগ্ম জজ নাহিদ নাসরিন। এরপর সব আইনজীবীরা পুনরায় তার আদালতে জামিনের আবেদন করেন। ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ নাহিদ নাসরিন শুনানি শেষে এ কে এম এ আউয়াল ও তার স্ত্রী লায়লা পারভীনের দুই মাসের জামিন মঞ্জুর করেন।’
এর আগে দুদকের মামলায় উচ্চ আদালত থেকে আট সপ্তাহের নেওয়া জামিনের শেষ দিনে পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন আউয়াল দম্পতি। জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আবদুল মান্নান শুনানি শেষে জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ মামলায় গত ৭ জানুয়ারি হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ তাদের আট সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছিলেন।
এ ঘটনায় মুহূর্তেই আদালত পাড়াসহ পুরো শহরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। উত্তেজিত নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশ আদালত পাড়াসহ শহরের বিভিন্ন জায়গায় লাঠিপেটা করে। পরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পিরোজপুর শহরসহ জেলার নাজিরপুর, মঠবাড়িয়ায় দলীয় সমথকরা বিক্ষোভ করে সড়কের বেশ কয়েকটি স্থানে অগ্নিসংযোগ করায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
জানা গেছে, পিরোজপুর-১ (পিরোজপুর-নাজিরপুর-নেছারাবাদ উপজেলা) আসনের সাবেক এমপি এবং পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম এ আউয়াল এবং তার স্ত্রী পিরোজপুর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লায়লা পারভীনের বিরুদ্ধে গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করে দুদক। মামলাগুলোর মধ্যে একটিতে আউয়াল ও তার স্ত্রী লায়লা পারভীনকে আসামি করা হয়েছে। বাকি দুটিতে কেবল আউয়ালকে আসামি করা হয়। তিনটি মামলারই বাদী হয়েছেন দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. আলী আকবর।