সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এর বিরূদ্ধে কাজীর বাসায় ঢুকে মারধোর ও মালামাল লুটের অভিযোগ
নিউজ ডেস্ক : বরিশাল সদর উপজেলার ৯ নং টুংগীবাড়িয়া ইউনিয়নের সোমরাজী গ্রামের বাসিন্দা এ.কে.এম সিরাজুল ইসলাম নামের এক কাজীর বাড়িতে এসে তাকে মারধর ও মালামাল লুটের ঘটনা ঘটেছে। গত ১০ জুন বিকালে এঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ৩০ মে বরিশাল জেলার মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার ৯নং জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের নিজাম চৌকিদারের ছেলের সাথে একই এলাকার শফিকুল ইসলামের মেয়ের সাথে বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকে তাদের পারিবারিক ঝামেলার কারনে বিবাহ বিচ্ছেদ করানাের জন্য বিভিন্ন সময় কাজীকে চাপ প্রয়োগ করে আসছে।
কাজী উভয় পক্ষকে নিয়ে আসতে বললে তারা ক্ষীপ্ত হয়ে কাজীকে হুমকি প্রদান করে। এঘটনায় চলতি মাসের ৭ তারিখে কাজী সিরাজুল ইসলাম মেহেন্দীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডাইরি করেন।
এই ঘটনায় ক্ষীপ্ত হয়ে ১০ জুন বিকালে কাজীর অস্থায়ী বাড়ি বরিশাল সদর উপজেলার টুংগীবাড়িয়া ইউনিয়নের সোমরাজী গ্রামের বাসায় আসেন জাঙ্গালীয়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হোসেন হাওলাদারসহ ৯/১০ এসে হামলা চালায়। এসময় কাজীর ডাক চিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে আসলে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও জনতার হাতে আটক হয় ছেলের বাবা নিজাম চৌকিদার।
স্থানীয়রা নিজাম চৌকিদারকে পুলিশে সোর্পদ করলেও চিকিৎসার নাম করে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। এঘটনায় বরিশাল মেট্টোপলিটন পুলিশের বন্দর থানায় কাজী সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন।
এবিষয়ে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আনোয়ার তালুকদার জানান, অভিযোগ পেয়েছি আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান। কাজী সিরাজুল ইসলাম জানান, তার বাসায় হামলা ও ভাংচুর চালিয়ে প্রায় দেড় লক্ষধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি করেছে। তবে এব্যাপারে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাকে তার সেল ফোনে পাওয়া যায়নি।