গোপন দুর্বলতা কাটাতে যা খাবেন। কোনও প্রকার ওষুধের প্রয়োজন নেই।
গোপন শক্তি বৃদ্ধির জন্য কোনও প্রকার ওষুধের প্রয়োজন নেই। এর জন্য দৈনন্দিন পুষ্টিকর খাবারই যথেষ্ট। এসব খাবার খেলে গোপন শক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি পাকস্থলী পরিষ্কার হয়, দেহে অতিরিক্ত দূষিত পদার্থ বের হয়, পাকস্থলী স্বাভাবিক হয়ে যায়, মস্তিষ্কের ক্ষমতা ও ক্ষুধা বাড়ায়।
এসব তালিকায় প্রথমেই আছে ডিম। প্রতিদিন খাবারের তালিকায় ডিম রাখবেন। ডিম যৌন স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি খাবার। ডিমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি-৫ ও বি-৬ আছে যা শরীরের হরমোনের কার্যক্রম ঠিক রাখে এবং মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিনের সকালের নাস্তায় একটি করে ডিম রাখুন।
সকালে খালি পেটে মধু খাওয়ার অভ্যেস করুন। এটা অনেক রোগের নিরাময় করে। যৌন শক্তি বৃদ্ধি এবং যৌবন ধরে রাখতে দুধের ভূমিকা অতুলনীয়। বিশেষ করে ছাগলের দুধ পুরুষের যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে অসাধারণ ভূমিকা রাখে। দুধ দেহের শুষ্কতা দূর করে এবং দ্রুত হজমে সাহায্য করে। এছাড়া বীর্য সৃষ্টি করে, দেহের অপ্রয়োজনীয় দূষিত পদার্থ বের করে দেয় এবং মস্তিষ্ক শক্তিশালী করে।
কুমড়োর বীজ, সূর্যমূখীর বীজ, চিনা বাদাম, কাজু বাদাম, পেস্তা বাদামে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট আছে এবং এগুলো শরীরে উপকারী কোলেস্টেরল তৈরি করে। সেক্স হরমোনগুলো ঠিক মতো কাজ করার জন্য এ কোলেস্টেরল অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তাই প্রতিদিন অল্প করে হলেও বাদাম খাওয়ার চেষ্টা করুন।
প্রতিদিন দুধ-চিনি ছাড়া চা পান করলে শরীরে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। চা ব্রেইনকে সচল করে, রক্ত চলাচল বাড়ায় ও স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সহায়তা করে। প্রতিদিন অন্তত দিন থেকে ৫ কাপ পর্যন্ত চিনি ছাড়া সবুজ চা বা রঙ চা খেলে যৌন স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং শরীরের ওজন কিছুটা হলেও কমে যায়।
প্রতিদিন খাবার তালিকায় রঙ্গিন ফলমূল রাখুন। আঙ্গুর, কলা, কমলা লেবু, তরমুজ, পিচ ইত্যাদি ফল যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত উপকারী।
রসুন ফোঁড়া ভালো করে, প্রস্রাব স্বাভাবিক করে, পাকস্থলী থেকে গ্যাস নির্গত করে, নিস্তেজ লোকদের মধ্যে যৌন ক্ষমতা সৃষ্টি করে, বীর্য বৃদ্ধি করে। পাকস্থলী ও গ্রন্থর ব্যথা, এ্যাজমা এবং কাঁপুনি রোগেও উপকার সাধন করে।
তৈলাক্ত মাছে রয়েছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড যা সুস্থ যৌন জীবনের জন্য অত্যন্ত উপকারী। সামুদ্রিক মাছেও প্রচুর পরিমাণে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড থাকে। এটি শরীরে ডোপামিন বাড়িয়ে দেয় এবং মস্তিষ্কে উদ্দীপনা জাগিয়ে তোলে। তৈলাক্ত ও সামুদ্রিক মাছ খেলে শরীরের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায় এবং গ্রোথ হরমোনের নিঃসরণ হয়। ফলে যৌন স্বাস্থ্য ভালো থাকে।