মঠবাড়িয়ায় হামলায় নৌকা প্রার্থীসহ আহত-২০

Sharing is caring!

মঠবাড়িয়া নিউজ ডেস্ক:
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের হামলায় আওয়ামীলীগের নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী হোসাইন মোশারেফ সাকু ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজুল আলম ঝনোসহ অন্তত ২০ নেতা কর্মী আহত হয়েছেন।
শনিবার দিনগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার গুলিসাখালী বাজারে এ সহিংসতার ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে আওয়ামীলীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী হোসাইন মোশারেফ সাকু, হলতা গুলিসাখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রিয়াজুল আলম ঝনোসহ পাঁচজনকে আশংকাজনক অবস্থায় বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় বিবদমান দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে ও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭জনকে আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে।

হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, সদ্য সমাপ্ত সংসদ নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই গ্রæপে পূর্ব বিরোধ চলে আসছিল। এ রাজনৈতিক বিরোধকে কেন্দ্র করে চলমান উপজেলা নির্বাচনে নতুন করে বিরোধের সৃষ্টি হয়। এর জেরে শনিবার দিনগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার গুলিসাখালী বাজারে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী গণসংযোগ শেষে শহরে ফেরার পথে প্রতিপক্ষ স্বতন্ত্র বিদ্রোহী প্রার্থী রিয়াজ উদ্দিন আহমেদের (আনারস প্রতীক) সমর্থকেরা অতর্কিতে হামলা চালায়। এসময় প্রতিপরে ধারালো অস্ত্রের কোপে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী হোসাইন মোশারেফ সাকু ও আওয়ামীলীগ নেতা হলতা গুলিসাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়াজুল আলম ঝনো এবং যুব মহিলা লীগের নেত্রী রোজিসহ ২০ জন আহত হয়। পরে আহতদের স্থানীয় জনতা পুলিশের সহায়তায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। আহদের মধ্যে নৌকার প্রার্থী মোশারেফ সাকুুসহ পাচ জনের অবস্থা আশংকা জনক হওয়া বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

্এ হামলার ঘটনার প্রতিবাদে নৌকা প্রতীকের পক্ষে গতকাল রোববার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। আ.লীগ সভাপতি পৌর মেয়র রফিউদ্দিন ফেরদৌসের বাসভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, তিনি অভিযোগ করেন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফুর রহমান দলীয় মনোনয় না পেয়ে তার ভাই স্বতন্ত্র প্রার্থী(আনারস) রিয়াজ উদ্দিনের সমর্থকরা নির্বাচনে পরাজয় জেনে এ সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে নির্বাচনী পরিবেশ বিনস্টের চেষ্টা চালাচ্ছে। হামলায় নৌকার প্রার্থীসহ ২০জন গুরুতর আহত হয়। তিনি এ হামলায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও বিচার দাবি করেন।

অপরদিকে স্বতন্ত্র বিদ্রোহী প্রার্থী রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ তার নির্বাচনী কার্যালয়ে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করে লিখিত অভিযোগে বলেন,, শনিবার রাত ১০ টার দিকে ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজুল আলমের নেতৃত্বে গুলিসাখালী বাজারে তার (আনারস প্রতীক) নির্বাচনী কার্যালয় ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কার্যালয় ভাঙচুর করে এবং তার সমর্থক ইউপি সদস্য আলাউদ্দিনকে মারধর করে। এতে স্থানীয় জনতা প্তি হয়ে নৌকা প্রার্থী ও সমর্থকদের ওপর পাল্টা হামলা চালায় । তিনি আরও বলেন, নৌকার সমর্থকরা পরাজয় জেনে পৃথক হামলা চালিয়ে স্বতন্ত্র(আনারস) প্রতিকের এ পর্যন্ত ১৩টি মোটরসাইকেল, ২টি অফিস ও ২২জন সমর্থকের ওপর হামলা চালিয়ে আহত করে।

মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম আর শওকত আনোয়ার ইসলাম বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। উপজেলার সব স্থানে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। এঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৭জনকে আটক করা হয়েছে।

Sharing is caring!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

YouTube
error: Content is protected !!