মঠবাড়িয়ায় সড়কে দুর্ঘটনা রোধে সড়কে গর্ত ভরাট করলেন পুলিশ

Sharing is caring!

মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) সংবাদদাতা >>
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌর শহরের প্রাণ কেন্দ্রের প্রধান বেহাল সড়কে দুর্ঘটনা রোধে খানাখন্দ ভরাট কাজ করলেন পুলিশ। মঠবাড়িয়া থনায় কর্মরত দুই পুলিশ সদস্য কোদাল ও ঝুড়ি নিয়ে বেহাল পাকা সড়কের গর্তে বালু খোয়া দিয়ে ভরাটের কাজ করেছেন। পুলিশের এমন স্বেচ্চা শ্রমে সামাজিক উদ্যোগে স্থানীয়রাও উদ্বুদ্ধ হয়ে হাত বাড়িয়ে সহযোগিতা করেছেন। গতকাল বুধবার দুপুরে রাস্তা মেরামতের এ কাজ করে জনমনে ব্যাপক আলোচনায় আসেন দুই পুলিশ সদস্য ।

জানা গেছে, ১ম শ্রেণির এই পৌরসভার প্রাণকেন্দ্রে সওজের দুই কিলোমিটার সড়ক দীর্ঘদিন ধরে সড়ক প্রশস্থকরনের নামে খোড়াখুড়ি করায় খানাখন্দ হয়ে জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছায়। চলতি বৃষ্টি মৌসুমে কয়েকদিনের বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধ সৃষ্টি হয়ে ওই সড়কটি আরও খানাখন্দে বেহাল দশা বিরাজ করে । এমন অবস্থায় প্রতিনিয়ত যাত্রী পরিবহনের গাড়ি, মাল বাহী ট্রাক খনা খন্দে আটকা পরে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। গত চারদিন ধরে শহরের বাস ষ্ট্যান্ড সংলগ্ন সড়কে একটি ট্রাক গর্তে আটকে যায়। পরে বুধবার দুপুরে মঠবাড়িয়া থনায় কর্মরত উপ-পরিদর্শক মো. মানিক ও সুমন নামে এক পুলিশ সদস্য মিলে নিজেরা ঝুড়ি কোদাল সংগ্রহ করে তাৎক্ষণিক বালু ও খোয়া দিয়ে গর্ত ভরাট করেন। এতে গর্তে আটকে থাকা ট্রাকটি সচল হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। এসময় তাঁরা সড়কের আরও বেশ কিছু বড় খানাখন্দ স্থানীয় মানুষদের সাথে নিয়ে ভরাট করেন।

এ সড়কের নিয়মিত পথচারী মো. বশির আহম্মেদ জানান, সড়কটি অনেকদিন ধরে খানা খন্দে কারণে চলাচলে দুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে। দুই পুলিশ সদস্য মিলে কিছু খানা কন্দ ভরাট করেছে যা খুবই প্রশংসনীয় ।

এ বিষয়ে থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক মো. মানিক বলেন, প্রধান এই রাস্তাটি বেহাল হয়ে আছে অনেক দিন ধরে। ফলে সব সময়ই যানজটের ধকল পোহাতে হয় যাতায়ত কারীদের। এখানে গত কয়েক দিন ধরে খানাখন্দে গাড়ি আটকা পরে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এই সড়ক দিয়ে অনেক লোকজন ও বিভিন্ন গাড়ি চলাচল করছে। অথচ এই রাস্তাটি চরম বেহাল। জনগণের দুর্ভোগ রোধে বড় খানাখন্দ কিছুটা ভরাট করার চেস্টা করেছি।

মঠবাড়িয়া থনার অফিসার ইনচার্জ মো. মাসুদুজ্জামান বলেন, পুলিশ জনগনের বন্ধু অপরাধ দমনের পাশাপাশি পুলিশকে নানা সামিজক কাজে অংশ নিতে হয়। সমাজের সকল মানুষকে স্বেচ্ছাশ্রমে সমাজিক উদ্যোগ মূলক কাজ করতে পারলে সমাজ ও পরিবেশ আরও সুন্দর থাকবে।

উল্লেখ্য মঠবাড়িয়া পৌরসভাধীন বহেরাতলা বেইলী ব্রিজ থেকে পাথরঘাটা বাস স্ট্যান্ড পর্যন্ত ১হাজার ৬৬০ মিটার রাস্তা সওজ এর আওতাধীন। চলতি বছরে চরখালী-পাথরঘাটা সড়কের প্রসস্থকরণ ও কার্পেটিংয়ের কাজ শুরু হয়। শহরের প্রাণকেন্দ্রের এ সড়কে জলাবদ্ধতা সৃষ্টির আশংঙ্কা থাকায় স্থানীয় সংসদ সদস্যের সুপারিশক্রমে কার্পেটিংয়ের নকশা পরিবর্তন করে আরসিসি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি অনুমোদন হলেও নির্মাণ কাজ শুরু হয়নি।

Sharing is caring!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

YouTube
error: Content is protected !!