মঠবাড়িয়ায় বিধবাকে বিয়ে করে হাতিয়ে নিলেন সম্পত্তি, বাড়ি ছাড়া করার হুমকি !

Sharing is caring!

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি >>>
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় নাজমা বেগম নামে এক বিধবা গৃহবধূকে বিয়ে করে ওই বিধবার সমস্ত সম্পত্তি আত্মসাত করার অভিযোগ উঠেছে। প্রতারক দ্বিতীয় স্বামী জাহাঙ্গীর বিধবার মৃত.স্বামীর রেখে যাওয়া সম্পত্তি নিজের নামে লিখে নিয়ে ওই বসতঘর থেকে উৎখাতের জন্য শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন।
এ প্রতারণা ও নির্যাতনের শিকার মঠবাড়িয়া পৌর শহরের সবুজ নগর মহল্লার কৃতি ফুটবলার মৃত মো. জামাল হোসেন বাদশার স্ত্রী নাজমা বেগম মঙ্গলবার বিকালে মঠবাড়িয়া প্রেস কাবে সংবাদ সম্মেলন করে তার ওপর দ্বিতীয় স্বামী জাহাঙ্গীর হোসেন এর নির্যাতন ও প্রতারণা অভিযোগ করেন। এসময় তার প্রথম স্বামীর সন্তান জাহিদুল ইসলাম ও ছেলে বৌ জান্নাতুল আক্তার উপস্থিত ছিলেন।

নির্যাতিত বিধবা নাজমা বেগম তার লিখিত অভিযোগে বলেন, স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে স্থানীয় মৃত চান মিয়া চৌকিদারের ছেলে মাংশ বিক্রেতা জাহাঙ্গীর হোসেন দীর্ঘদিন ধরে ওই বিধবাকে বিয়ে করার জন্য পিছু নেয়। এক পর্যায় জাহাঙ্গীর বিধাবা নাজমার পরিবারের ভরণপোষণসহ তার মৃত প্রথম স্বামীর রেখে যাওয়া তিন সন্তান মানুষ করে তাদের বিয়ে দেওয়ার প্রলোভন দিতে থাকে। পরে বিধবা নাজমা তিন সন্তান ও নিজের নিরাপত্তার কথা ভেবে জাহাঙ্গীরকে দ্বিতীয় বিবাহ করেন। এরপর ভুল বুঝিয়ে কৌশলে মঠবাড়িয়া পৌর শহরের মৃত স্বামীর দুইটি দোকান ঘর বিক্রি করে ৩০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় জাহাঙ্গীর। এছাড়া অপকৌশলে জাহাঙ্গীর ওই বিধবার মেয়ে বিয়ে ও পাকা বাড়ি করে দেওয়ার নামে সবুজনগর মহল্লায় ৫০ লাখ টাকা মূল্যের ৯ শতাংশ নাল জমি লিখে নেয়। সেই সাথে বিধবার প্রায় দুই লাখ টাকার র্স্বণালংকারও হাতিয়ে নেয় প্রতারক দ্বিতীয় স্বামী জাহাঙ্গীর। এছাড়া বিধবার ছেলে মানসিক অসুস্থ মো. জাহিদুল ইসলাম সবুজ মিয়ার চিকিৎসা করানোর নামে এক শতাংশ জমি কবলা দলিল করতে গিয়ে প্রতারণা করে ৬ শতাংশ জমি লিখে নেয়। বর্তমানে দ্বিতীয় স্বামী জাহাঙ্গীর আমাকে ও আমার সন্তানদের মৃত বাবার সম্পত্তিতে থাকা বসতঘর ছাড়া করার হুমকী দিয়ে আসছে।

এদিকে দ্বিতীয় স্বামী তার স্ত্রীর সম্পত্তি আত্মসাত করে বসতঘর থেকে উৎখাত করার জন্য সহকারি পুলিশ সুপার বরাবরে লিখিত আবেদন জানান।
এ বিষয়ে মঠবাড়িয়ার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আশরাফুর রহমান বলেন, লিখিত আবেদন পেয়েছি। ব্যাস্ত থাকার কারণে বিষয়টি সুরহা করা সম্ভব হয়নি।

সহকারি পুলিশ সুপার (মঠবাড়িয়া সার্কেল) হাসান মোস্তফা স্বপন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, লিখিত আবেদন পেয়ে স্বামী ও স্ত্রী দুইজনকে নোটিশ করে ডেকে আনা হয়েছিল। তারা দুই জনই বিষয়টি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে ফয়সালার জন্য একমত হন। বিষয়টি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে মিমাংসার জন্য রয়েছে।

Sharing is caring!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

YouTube
error: Content is protected !!