মঠবাড়িয়ায় বলেশ্বর নদে কোস্টগার্ডের ওপর হামলা, গ্রেফতার দুই, ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
মঠবাড়িয়া সংবাদদাতা :
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার বলেশ্বর নদে টহলরত কোষ্টগার্ডের ওপর সংঘবদ্ধ একদল জেলে হামলা চালিয়েছে। হামলায় কোস্টগার্ডের তিনজন নৌযানচালক আহত হয়েছেন। বৃষ্পতিবার দিনগত রাতে বাংলাদেশ কোষ্টগার্ড ষ্টেশন ভান্ডারিয়ার কন্টিজেন্ট কমান্ডার এম মোস্তাক আহমেদ (পিও) বাদী হয়ে এজাহার নামীয় ২৫ ও অজ্ঞাত আরও ৭০/৮০ জনকে আসামী করে মঠবাড়িয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় সরকারী কাজে বাধা, মারধর ও লুটের অভিযোগ আনা হয়েছে। পুলিশ ওই মামলার এজাহার নামীয় আসামী উপজেলার বড় মাছুয়া গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে বশির হাওলাদার (২০) ও প্রতিবেশী চর ভোলমারা গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে কবির খাঁ (২২) কে গ্রেফতার করে গতকাল শুক্রবার সকালে আদালতে সোপর্দ করেছে।
মামলা সূত্রে জানাযায়, গত ১৭ এপ্রিল উপজেলার বড়মাছুয়া সংলগ্ন বলেশ্বর নদীতে সরকারী বোট ও ভাড়া করা ট্রলার নিয়ে কোষ্টগার্ডের একটি দল নিয়মিত টহলে বের হয়। ঘটনার দিন বুধবার সকালে স্থানীয় বড় মাছুয়া লঞ্চঘাট এলাকায় পৌছালে নদীতে প্রায় শতাধিক নিষিদ্ধ ঘোষিত ছোট ফাঁসের অবৈধ বেহেন্দী ও কারেন্ট জাল দেখতে পায়। কোষ্টগার্ড সদস্যরা ওই অবৈধ জাল আটক করতে গেলে জেলেরা কোষ্টগার্ড সদস্যদের বাঁধা দেয়। এক পর্যায় জেলেরা পাঁচটি ট্রলার যোগে ৮০/৯০ জনের একটি দল তাদের ওপর দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালান। এসময় কোষ্টগার্ডের বেসামরিক মাঝি মাছুম হাওলাদর (৩৫), মো. সোহেল (২৭) ও মো. মাকসুদ (২৮) কে গুরুতর আহত হয়। হামলাকারি জেলেরা সরকারি মামলামাল বহনকারী ট্রলারটিকে ভাংচুর ও মালামাল লুট করে প্রায় সাড়ে ছয় লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করে। পরে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আহত তিন মাঝিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই দিন রাতে তাদের বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজে স্থান্তর করেন।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ আব্দুল্লাহ্ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এঘটানয় জড়িত দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামীদের ব্যপারে তদন্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।