মঠবাড়িয়ায় প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে কৃষক নিহত
মঠবাড়িয়া সংবাদদাতা >>>
মঠবাড়িয়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আবদুল হক শিকদার (৪৫) নামে এক কৃষক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার দিনগত গভীর রাতে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে ঢাকা নেওয়ার পথে মাওয়া ফেরিঘাটে তার মৃত্যু ঘটে। পুলিশ শনিবার দুপুরে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্টে শেষে ময়না তদন্তের জন্য পিরোজপুর জেলা মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহত কৃষক আব্দুল হক শিকদার উপজেলার দক্ষিণ বড়মাছুয়া গ্রামের মৃত হাতেম আলী শিকদার এর ছেলে।
এ ঘটনায় নিহত ওই কৃষকের চাচাতে ভাই রুহুল আমিন শিকদার বাদি হয়ে প্রতিপক্ষ ছগির হাওলাদার ও নাছির হাওলাদারসহ ১৯ জন এজাহার নামীয় আরও অজ্ঞতনামা ১০/১৫জনকে আসামী করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় পুলিশ শনিবার সকালে ছগির হাওলাদর (৩৫), নাছির হাওলাদার (৫৫), আইউব আলী খাঁন (৬৫) কে গ্রেফতার করেছে।
থানা ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দক্ষিণ বড়মাছুয়া গ্রামের মৃত হামেজ হাওলাদারের ছেলে নাসির হাওলাদার গংদের সাথে একই গ্রামের মৃত হাতেম আলী শিকদারের ছেলে আবদুল হক শিকদার গংদের ৯ একর ১৪ শতাংশ জমি নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। মামলা চলমান থাকা অবস্থায় বিরোধপূর্ণ ওই কৃষি জমিতে শুক্রবার সকালে নিহত আবদুল হক তাদের লোকজন নিয়ে চাষাবাদ করতে যায়। এসময় প্রতিপক্ষ নাছির, ছগির ও আইউব আলী ও তার লোকজন লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর চড়াও হয়। এতে উভয় পক্ষের ২০জন আহত হয়। আহতদের গ্রামবাসি উদ্ধার করে প্রথমে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে গুরুতর আহত কৃষক আবদুল হকসহ ১০ জনকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে। পরে শুক্রবার মধ্যরাতে রাতে আশংকাজনক অবস্থায় আহত কৃষক আব্দুল হককে এম্বুলেন্সযোগে ঢাকায় নেওয়ার পথে মাওয়া ফেরি ঘাটে তার মৃত্যু হয়।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ নুরুল ইসলাম বাদল ঘটনা নিশ্চিত করে জানান, নিহত কৃষকের পরিবারের পক্ষ হতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
পিরোজপুর জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ সাঈদুর রহমান (পিপিএম) শনিবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এ হত্যাকান্ড ঘটেছে। মামলার এজাহারভূক্ত তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামীদেরকে গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।