মঠবাড়িয়ায় টাকার লোভে সন্তান হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ঘাতক পিতা গ্রেফতার
মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি :
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় বিমার টাকা পেতে নিজ কন্যা হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মহারাজ হাওলাদারকে (৫৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার বিকালে বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট বটতলা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে তাকে আজ বুধবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। সে মঠবাড়িয়া উপজেলার ছোট শিংগা গ্রামের আলী হোসেন হাওলাদারের ছেলে।
থানা সূত্রে জানাগেছে, ২০০৫ সালে ৮ বছরের শিশু কন্যা জেসমিন আক্তার রিংকুর নামে পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড মঠবাড়িয়া শাখায় একটি ইসলামী ডিপিএস খোলেন ঘাতক পিতা মহারাজ হাওলাদার। প্রথম কিস্তি পরিশোধের পর বিমা গ্রহীতা মারা গেলে বীমা অংকের সম্পূর্ণ টাকা পাওয়ার আশায় জেসমিন আক্তার রিংকুকে তার পাষন্ড পিতা গলাটিপে হত্যা করে। পরে পানিতে ডুবে মারাগেছে বলে প্রচার চালায় ঘাতক পিতা। এঘটনায় প্রথমে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করে পুলিশ। পরবর্তীতে তদন্ত করে ২০০৫ সালের ২৫ সেপ্টেমর মঠবাড়িয়া থানার এস আই মোস্তোফিজুর রহমান দÐবিধির ৩০২ ধারায় একটি হত্যা মামলা রুজু করেন। ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই হারেজ তালুকদার প্রায় ছয় মাস তদন্ত শেষে ২০০৬ সালের ১৪ এপ্রিল মহারাজ হাওলাদারকে অভিযুক্ত করে আদালতে চুড়ান্ত অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত ২০০৭ সালের ৫ জুন আসামী মহারাজ হাওলাদারের বিরুদ্ধে দন্ডবিধির ৩০২ ধারায় অভিযোগ গঠন করেন। পরে পিরোজপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক এস এম জিললুর রহমান মহারাজ হাওলাদারকে দন্ডবিধির ৩০২ ধারার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে তাকে মৃত্যুদন্ড এবং ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড দন্ডিত করেন। মামলা দায়েরের পর থেকেই মহারাজ পলাতক ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার বিকালে র্যাব-৬ এর একটি টহল দল ও মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলার বটতলা এলাকা থেকে মহারাজ হাওলাদারকে আটক করে।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ আব্দুল্লাহ্ গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গ্রেফতারকৃত মহারাজ হাওলাদারকে বুধবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।