মঠবাড়িয়ায় জাতীয় পার্টির নেতাকে মহাসড়কে ফেলে কুপিয়ে পা বিচ্ছিন্ন করলো অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা

Sharing is caring!

সংবাদদাতা মঠবাşিয়াęপিরোজপুর Ħ
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় শফিকুল ইসলাম সিকদার (৩৮) নামে জাতীয় পার্টি (এরশাদ) নেতাকে প্রকাশ্য দিবালোকে মহাসড়কে ফেলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে এক পা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করেছে অজ্ঞাত একদল সন্ত্রাসী। স্থানীয়রা গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে । তার অবস্থা আশংকা জনক। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে মঠবাড়িয়া-চরখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের মাঝেরপুল নামক স্থানে ওই জাতীয় পার্টি নেতা এ সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন।
গুরুতর আহত শফিকুল ইসলাম উপজেলার তুষখালী গ্রামের মো. আইউব আলী সিকদার এর ছেলে। সে স্থানীয় তুষখালী ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক।
এ সন্ত্রাসী হামলার জড়িতদের এখনও সনাক্ত করা যায়নি। তবে পুলিশ স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের ভাই নাসির হাওলাদারকে সন্দেজনক হিসেবে আটক করেছে।
থানা ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, মঠবাড়িয়া উপজেলার তুষখালী ইউনিয়ন বাজারে দুইটি ভিটির মালিকানা নিয়ে স্থানীয় কয়েকজনের সাথে জাতীয় পার্টির নেতা শফিকুল ইসলাম এর দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিলো। এ ঘটনায় বেশ কিছু মামলা মোকদ্দমা আদালতে চলমান। বৃহস্পতিবার সকালে মঠবাড়িয়া উপজেলা সদর আদালতে একটি মামলায় হাজিরা দিতে শফিকুল ইসলাম বাড়ি থেকে বের হন। একটি ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল যোগে উপজেলা সদরের যাওয়ার পথে মহাসড়কের মাঝেরপুল সংলগ্ন স্থানে পৌঁছলে অজ্ঞাত ৪/৫জন যাত্রীবাহী একটি মাহিন্দ্র গাড়ি শফিকুলের মোটরসাকেলের পিছন থেকে পরিকল্পিত থাক্কা মারে। এতে মোটরসাইকলে চালক ও আরোহী শফিকুল সড়কের পাশে পড়ে যান। এরপর সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা মাহিন্দ্র থেকে নেমে শফিকুলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে বাম পা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে। এছাড়া তার পেট ও শরীরের নানা স্থানে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে সড়কে ফেলে দ্রæত মাহিন্দ্রযোগে সন্ত্রাসী দল পালিয়ে যায়।
আহত শফিকুলের আর্তচিৎকারে পথচারি ও স্থানীয় বাসিন্দারা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে তার অবস্থা অবনতি ঘটলে বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ ব্যাপারে হামলায় আহত জাতীয় পার্টিও নেতা শফিকুল ইসলাম এর বাবা মো. আইউব আলী সিকদার জানান, তার ছেলের সাথে তুষখালী বন্দরের দুইটি ভিটির জমি নিয়ে স্থানীয় কয়েকজনের সাথে বিরোধ চলছিলো। এ নিয়ে আদালতে মামলাও চলমান। ওইসব প্রতিপক্ষরাই পরিকল্পিতভাবে আমার ছেলেকে হত্যার উদ্যেশে কুপিয়ে এক পা বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। আমার ছেলের অবস্থা এখন আশংকাজনক। আমরা এই সন্ত্রাসী হামলার ন্যায় বিচার চাই।

মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ নূরুল ইসলাম বাদল ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করা হয়েছে। হামলায় জড়িতদের সনাক্ত করতে পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ হতে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

Sharing is caring!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

YouTube
error: Content is protected !!