মঠবাড়িয়ার সাংসদ ডা. ফরাজির বিরুদ্ধে ত্রাণের চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আ.লীগ নেতাদের

Sharing is caring!

নিউজ ডেস্ক : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় চলমান করোনা সংকট মোকাবেলায় ঘরবন্দী অসহায় মানুষকে খাদ্য সহায়তার জি.আর চাল বিতরণে অনিয়ম ও সমন্বয়হীনতার অভিযোগ উঠেছে মহাজোটের এমপি ডা. রুস্তুম আলী ফরাজির বিরুদ্ধে। এ নিয়ে স্থানীয় আওয়ামীলী নেতা মাঝে ক্ষোভ ও বিষোদাগারের সৃষ্টি হয়েছে।


আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় জাতীয় পার্টির নেতা ডা. রুস্তুম আলী ফরাজি পিরোজপুর-৩ মঠবাড়িয়া আসনে মহাজোটের প্রার্থী হয়ে এমপি নির্বাচিত হন। তবে তিনি স্থানীয় উন্নয়ন কাজে আওয়ামীলীগের সাথে কোন সমন্বয় করেন না। চলমান করোনা সংকট মোকাবেলায় তিনি অদ্যবধি এলাকায় এসে বিপন্ন মানুষের কোনও খবরও নেননি। তিনি করোনা সংকট শুরুর আগে থেকে ঢাকায় অবস্থান করছেন। সরকার করোনা দূর্গতদের মাঝে এমপির কোঠায় ১০ টন চাল বরাদ্দ দেন। ওই চাল তিনি তার অনুসারিদের দিয়ে তুলে খেয়াল খুশীমত তার ভোটার কর্মী সমর্থকদের মাঝে বিলি বন্টন করে চলেছেন। এমপির এ সরকারি ত্রাণ কাজে তিনি স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীদের সাথে কোনও সমন্বয়ও করেননি। ফলে প্রকৃত দুস্থ:রা এ সরকারি সহায়তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।


এমপি ডা. রুস্তুম আলী ফরাজির ত্রাণের চাল বিতরণে নানা অনিয়ম তুলে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীরা সামাজিক সাইটে নানা ক্ষোভ তুলে ধরে এর প্রতিকার দাবি করেছেন। এছাড়া এমপি এ করোনা সংকটময় মুহূর্তে এলাকায় না থাকা নিয়ে নানা প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক সেলিম মাতুব্বর বলেন, করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বর্তমান সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাথে সমন্বয়হীনতা করে চলেছেন।


মঠবাড়িয়ায় লকডাউন সাধারণ মানুষ দিশেহারা। বিশ্ব মহামারী করোনা মোকাবেলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ঘরে ঘরে খাবার পৌছানোর কথা থাকলেও এই দুর্যোগকালীন সময়ে মঠবাড়িয়ার এম.পি ডাঃ রুস্তম আলী ফরাজী এলাকায় উপস্থিত নেই। উল্টো তার অনুসারী আত্মীয়দের মাধ্যমে গরীবেরত্রাণের চাল বণ্টনের নামে হরি লুট করছেন।

ছাত্রলীগ নেতা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান সিফাত অভিযোগ করেন, আমি মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হয়েও যতটুকু পারছি ব্যাক্তিগত উদ্যোগে করোনা দূর্গত মানুষের পাশে দাড়িয়েছি। আর মহাজোটের এমপি আজ অবধি এলাকায় নেই। এমপি ডা. রুস্তুম আলী ফরাজি একজন বহুদলীয় নেতা। তিনি জতীয় নির্বাচনে মহাজোটের তকমা লাগিয়ে যিনি সুর্যোদয়ের আগেই এম.পি নির¦াচিত হন। মহাজোটের এমপি হলেও উনি দলের সাথে কোনও সমন্বয়ই করেননা। করোনা দূর্গত দু:স্থ মানুষের নামে ১০ টন জি আর চাল তার অনুসারি স্থানীয় সলাম মেম্বর,শহিদ মেম্বর, খলিল মেম্বরকে সিপিসি করে তুলে নেন। সেই চাল কোথায় কাদের তিনি বিতরণ করেছেন তা কেউ জানেনা। এ চাল দু:স্থ মানুষের তাদেরকেই দিতে হবে।

এ বিষয়ে এমপি ডা. রুস্তম আলীকে ফরাজিকে মোবাইলে কল দিয়ে পাওয়া যায়নি। তবে এমপির স্থানীয় এমপির প্রতিনিধি মো. আলী রেজা রনজু তিনজন ইউপি সদস্যদের দিয়ে ১০টন জি.আর চাল উত্তোলনের কথা স্বীকার করে বলেন, এমপির নামে যে কুৎসা রটানো হচ্ছে তা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। উত্তোলনকৃত চাল মঠবাড়িয়া পৌরসভাসহ ১১ ইউনিয়নের প্রকৃত দু:স্থদের তালিকা করে বিতরণ করা হচ্ছে । এ নিয়ে সন্দেহ থাকলে সরকার তদন্ত করে দেখবে।

Sharing is caring!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

YouTube
error: Content is protected !!