বিরোধ জমি নিয়ে, মামলা ধর্ষণ চেষ্টার ! মঠবাড়িয়ায় সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ

Sharing is caring!

মঠবাড়িয়া সংবাদদাতা :
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে এক স্কুল শিক্ষিকাকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ এনে সাজানো মামলা দিয়ে প্রতিপক্ষ পরিবারকে হয়রাণির অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় হয়রাণির শিকার স্থানীয় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী দুলাল ফরাজির স্ত্রী মহিমা আক্তার সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।

বুধবার মঠবাড়িয়া প্রেস কাবে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করেন, তার স্বামী দুলাল ফরাজি স্থানীয় উপজেলার ৬৭ নম্বর পূর্ব সেনের টিকিকাটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পিয়ন কাম নৈশ প্রহরী পদে চাকুরি করেন। স্থানীয় সেনের টিকিকাটা গ্রামের মৃত হাকিম মুন্সি ছেলে স্বপন মুন্সি ও তার ফুফাত বোন স্থানীয় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা দিলারা আক্তার এমিলির সাথে ১০ কাঠা জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। পৈত্রিক সম্পত্তি বলে স্বপন মুন্সির বিরোধিয় ওই জমি স্কুলের নৈশ প্রহরী দুলাল ফরাজি দেখাশোনা করে আসছিলেন।
গত ২১ মে রাতে শিক্ষকা দিলারা আক্তার তার লোকজন নিয়ে বিরোধিয় জমিতে ঘরতুলে জমি দখলের চেষ্টা চালায়। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দিলারার বড় ভাই রুহল আমীন মোল্লাকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই জমির কেয়ারটেকার তার স্বামীকে প্রতিপক্ষ ওই স্কুল শিক্ষিকা তার লোকজন দিয়ে বেদম মারধর করে গুরুতর আহত করে। তাকে বরিশালে চিকিৎসা করানো হয়। ওই হামলার ঘটনায় তার স্বামীর বড় ভাই জামাল ফরাজি বাদি হয়ে প্রতিপক্ষ ৯জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন । ওই মালায় স্কুল শিক্ষিকাকে ৩ নম্বর আসসামী করা হয়। ( মামলা নম্বর-৫৪/তারিখ-২৫/৫/২০১৯) । ওই একই তারিখে স্কুল শিক্ষিকা দিলারা আক্তার বাদি হয়ে নৈশ প্রহরী দুলাল ফরাজিকে প্রধান আসামী করে তিন জনের বিরুদ্ধে মঠবাড়িয়া থানায় একটি ধর্ষণ চেষ্টার মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় পুলিশ নৈশ প্রহরী দুলালকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে। সে বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছে।
গৃহবধূ মহিমা আক্তার অভিযোগ করেন, বিরোধ জমি নিয়ে অথচ মামলা দেওয়া হয়েছে ধর্ষণ চেষ্টার। প্রতিপক্ষরা প্রভাবশালী তারা এখন নানা রকম ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষিকা দিলারা আক্তার এমিলি বলেন, দুলাল ফরাজি ওই জমির কোন কেয়ারটেকার কিংবা পক্ষ না। কিন্তু সে আমার প্রতিপক্ষদের পক্ষে গিয়ে আমার ওপর নির্যাতন চালানোর চেষ্টা চালিয়েছে। ওই জমি আমার স্বামী ও নানার সম্পত্তি বলে আমি ফরাজ হিসেবে ন্যায্য দাবিদার।

Sharing is caring!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

YouTube
error: Content is protected !!