পিরোজপুরের নেতাদের যা বললেন ওবায়দুল কাদের
অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিরসনে পিরোজপুর জেলার নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। সভার শুরুতে জেলায় কোনঠাসা হয়ে পড়া সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য একে এম আওয়ালকে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের শাসিয়েছেন বলে জানান সভায় উপস্থিত একাধিক নেতা।
বৃহস্পতিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পিরোজপুর জেলার নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও বলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা জানান, নির্বাচনের আগে আভ্যন্তরীণ কোন্দল সহ্য করা হবে না বলে পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের বলেছেন ওবায়দুল কাদের। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করতে হবে। ব্যক্তিগত দূরত্ব দূর করে নৌকার বিজয়ের লক্ষ্যে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে। নেত্রীর (শেখ হাসিনা) সিদ্ধান্ত সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। অন্যথায় কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ওবায়দুল কাদের পিরোজপুর জেলার নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা একে অপরের বিরুদ্ধে যে সমালোচনার রাজনীতি করেন সেটা প্রতিপক্ষ বিএনপির বিরুদ্ধেও করেন না। আপনাদের একে অপরের সমালোচনা বন্ধ করতে হবে। শৃঙ্খলা বজায় রেখে রাজনীতি করতে হবে। তা না হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সভা সূত্র জানায়, বৈঠকে পিরোজপুর জেলার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। কেন্দ্রীয় নেতারা সবার কথা শুনেছেন। পরে উভয় পক্ষকে মিলিয়ে দিয়েছেন। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজনীতি করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন ও জেলার অন্যান্য নেতারা।
জানা গেছে, মূলত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়াকে কেন্দ্র করে পুরনো দ্বন্দ্ব মাথাচাড়া দিয়ে ওঠেছে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে পিরোজপুর-১ আসনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য হন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএমএ আউয়াল। এ আসনে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী তার আপন ভাই ও পিরোজপুর পৌরসভার মেয়র এবং দলের জেলা কমিটির সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান মালেক।
তথ্য অনুযায়ী, জেলার রাজনীতিতে সভাপতিকে কোনঠাসা করে দলীয় মনোনয়ন নিশ্চিত করার চেষ্টা করছেন হাবিবুর রহমান মালেক।