ক্ষুদায় ইয়েমেনের শিশুদের কাঁদার শক্তি নেই !সেভ দ্য চিলড্রেন।

Sharing is caring!

সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের আগ্রাসনের কারণে খাদ্য ও জ্বালানির মূল্য বেড়ে যাওয়ায় ইয়েমেনে অর্ধকোটিরও বেশি শিশু দুর্ভিক্ষঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন।

ব্রিটেনভিত্তিক এ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানটির নতুন এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লোহিতসাগরের হুদাইদা বন্দর থেকে রসদ সরবরাহ ব্যাহত হওয়ায় দেশটিতে খাদ্যাভাব নজিরবিহীন পর্যায়ে চলে যাবে। সেক্ষেত্রে দেশটিতে নতুন করে আরও ১০ লাখ শিশু দুর্ভিক্ষের ঝুঁকির মুখে আছে। এতে সব মিলিয়ে ৫২ লাখ শিশু চরম দুর্ভিক্ষঝুঁকিতে রয়েছে।

সেভ দ্য চিলড্রেনের প্রধান নির্বাহী হেরে থরনিং জানান, ইয়েমেনে খাদ্য সংকট এতটা তীব্র যে লাখ লাখ শিশু জানে না, পরের বেলার খাবার তাদের জুটবে কি না। তিনি মনে করেন, এই যুদ্ধের কারণে জীবনশঙ্কার পাশাপাশি ক্ষুধা ও কলেরার মতো রোগের সঙ্গে নিত্যদিন লড়াই করে যেতে হচ্ছে শিশুদের।

হেরে থরনিং বলেন, ইয়েমেনের উত্তরাঞ্চলের একটি হাসপাতালে দেখি, শিশুরা এতোই দুর্বল যে তারা কাঁদতেও পারছে না।

গত মাসে সেভ দ্য চিলড্রেন জানায়, ভয়াবহ অপুষ্টিতে ভোগা পাঁচ বছরের কম বয়সী চার লাখ শিশুকে সহায়তা দিয়েছেন তারা। তাদের অনুমান চলতি বছরের শেষের দিকে ৩৬ হাজারের বেশি শিশুর প্রাণহানি হতে পারে।

কয়েকদিন আগে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ বলেছে, ইয়েমেন এখন শিশুদের জন্য জাহান্নামে পরিণত হয়েছে। দেশটির এক কোটি ১০ লাখ শিশু চরম খাদ্য সংকট ও নানা ধরনের অসুখে ভুগছে। এদের অনেকেই ঘরবাড়ি হারিয়ে শরণার্থীতে পরিণত হয়েছে।

আমেরিকা ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ আরও কয়েকটি দেশের সহযোগিতায় ২০১৫ সালের মার্চ থেকে দরিদ্র প্রতিবেশী দেশ ইয়েমেনে হামলা শুরু করেছে সৌদি আরব। তাদের হামলায় এ পর্যন্ত শিশুসহ ১৪ হাজারের বেশি ইয়েমেনি নিহত হয়েছেন। সম্প্রতি শিশুদের বহনকারী একটি বাসে হামলা চালিয়ে স্কুলগামী বহু শিশুকে হত্যা করেছে সৌদি বাহিনী।

Sharing is caring!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

YouTube
error: Content is protected !!