মঠবাড়িয়ায় মুক্তিযোদ্ধাদরে কটুক্তি করায় ৫ কোটি টাকার মানহানি মামলা
মঠবাড়িয়া সংবাদদাতা :
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় সমাবেশে মুক্তিযোদ্ধাদের কটুক্তি ও অশালীন মন্তব্য করার অভিযোগে আওয়ামীলীগ সমর্থীত নৌকা প্রতিকের উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হোসাইন মোশারফ সাকুর বিরুদ্ধে ৫ কোটি টাকার মানহানি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ মে) মঠবাড়িয়া জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা শাহ আলম দুলাল বাদী হয়ে এ মানহানী মামলাটি দায়ের করেন। আদালতে বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান বাদশাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। মামলার বাদি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান মুন্সি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ১ মে মহান স্থানীয় ইমারাত শ্রমিক ইউনিয়ন মহান মে দিবসে শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার মুক্তমঞ্চে একটি শ্রমিক সমাবেশের আয়োজন করে। এতে স্থানীয় অনেক মুক্তিযোদ্ধরাা অংশগ্রহন করেন। এর একদিন পর একই স্থানে ২ মে অন্য আরেকটি শ্রমিক সংগঠনের ব্যানারে পৃথক একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ওই সমাবেশে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী নৌকা প্রতীক হোসেন মোশারফ সাকু বক্তব্য দেন। এতে তিনি ১মে দিবসে ইমারাত শ্রমিক ইউনিয়নের সমাবেশে যোগদানকারী মুক্তিযোদ্ধাদের বিরদ্ধে কটুক্তি করে মুক্তিযোদ্ধাদের তিনি ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা উল্লেখ করে বলেন, তিনি সুযোগ পেলে ওইসব অ-মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা থেকে বাছাই করে তাদের বহিস্কার করবেন। নৌকার প্রার্থী মোশারফ সাকুর এমন বক্তব্যে মুক্তিযোদ্ধারা ক্ষুব্ধ হন। এতে স্থানীয় সকল মুক্তিযোদ্ধারা সামাজিক, রাজনৈতিক ও মানসিকভাবে বিব্রতবোধ করছেন। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবীতে মুক্তিযোদ্ধার নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে ৫ কোটি টাকার মানহানি মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয় হোসেন মোশরফ সাকুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, মামলায় যে অভিযোগ আনা হয়েছে সে রকমভাবে আমি বক্তব্য দেইনি। আমি বলেছি আমি উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে অমুক্তিযোদ্ধার তালিকা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বরাবর পাঠাবো।
প্রসঙ্গত গত ৩১ মার্চ চতুর্থ ধাপে মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবার কথা ছিল। তার আগে এক যুবলীগ নেতা খুন ও নৌকার প্রার্থীর ওপর হামলার ঘটনায় নির্বাচনী সহিংসতা এড়াতে নির্বাচন কমিশন নির্বাচন সাময়িক স্থগিত করে।