মঠবাড়িয়ায় মাছ ব্যবসায়ী নিজের ক্লিনিকে নিজেই চিকিৎসক ! দুই ভূয়া ডাক্তারের জেল ও জরিমানা

Sharing is caring!

মঠবাড়িয়া সংবাদদাতা >>>
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় মোস্তফা কামাল(৪০) নামে এক এক মাছ ব্যবসায়ী নিজের মালিকানাধিন কিনিকে নিজেই প্রসূতি নারীর সিজারিয়ান অস্ত্রোপাচার করছেন এছাড়া অপর একটি বেসরকারি ক্লিনিকে আমির হোসেন(৪৫)নামে ভূয়া এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে চিকিৎসাসেবা নামে দরিদ্র মানুষের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ পেয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বরিশাল র‌্যাব-৮ একটি দল আকস্মিক অভিযান চালিয়ে শহরের দনি বন্দর মাহিমা কিনিকের মালিক ও কথিত চিকিৎসক মোস্তফা কামাল ওরফে মাছ মোস্তফা ও উপজেলার ধানীসাফা বন্দরের হাজী আবদুর রাজ্জাক সার্জিক্যাল কিনিকের ভূয়া চিকিৎসক আমির হোসেনকে গ্রেফতার । পরে ওই দুই ভুয়া চিকিৎসককে ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির করা হলে মহিমা কিনিকের মালিক মোস্তফা কামলকে তিন মাস ও অপর ভূঁয়া চিকিৎসক আমির হোসেনকে ৬ মাসের দÐ প্রদান করেন। র‌্যব-৮এর ওই অভিযানে দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট্র- পিযুষ কুমার চৌধুরী এ দÐাদেশ দেন।

দÐিতরা হলো, মঠবাড়িয়া উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের সোনাখালী গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে মোস্তফা কামাল ও নোয়াখালী জেলার শাহাজাদপুর উপজেলার আবুল খায়ের মিয়ার ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দÐিত ভুয়া চিকিৎসক মোস্তফা কামাল মঠবাড়িয়া পৌর শহরের মাছের আড়তের ব্যবসা করে আসছেন। ২০০৯ সালে সে শহরের হাসপাতাল সড়কে মহিমা কিনিক নামে একটি হাসপতাল চালু করেন। ওই হাসপাতালে নিজেই মালিক আবার নিজেই চিকিৎসক সেজে সিজারিয়ান অপারেশন করে আসছিলেন। কিনিকের বৈধ অনুমোদন না থাকলেও তিনি প্রভাবশালীদের মদদে কিনিক পরিচালনা করছেন। কিনিক মালিক হাসপাতালে কোন চিকিৎসক নিয়োগ না দিয়ে নিজেই প্রসূতি নারীর সিজারিয়ান অপারেশন করে আসছেন। ইতি পূর্বে কিনিকে কয়েক দফা প্রসূতি নারীর মৃত্যুসহ নানা দুর্ঘটনা ঘটে। এসব দুর্ঘটনা টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে মোস্তফা নিজেই মালিক নিজেই চিকিৎক হয়ে রোগীদের ঝুঁকিতে ফেলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
অপর দিকে উপজেলার ধানীসাফা বন্দরের হাজী আ. রাজ্জাক সার্জিক্যাল কিনিকের চিকিৎসকের কোন বৈধ কাগজ ও সনদ পত্র না থাকা সত্বেও ভুয়া ডাক্তার সেজে সিজারিয়ান অপারেশন করে আসছেন। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গোপনে অভিযোগ পেয়ে র‌্যাব-৮ এর একটি দল এ দুই কিনিকে অভিযান চালায়। এসময় ওই দুই কিনিক দিয়ে কথিত দুই ডাক্তারকে প্রেফতার করে র‌্যাবের দল। পরে ভ্রাম্যমান আদালতে মাধ্যমে তাদের দÐাদেশ প্রদান করে জেল হাজতে পাঠানো হয়। সেই সাথে কিনিক দুটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এছাড়া শহরের বহেরাতলা সৌদি প্রবাসি হাসপাতালে অভিযান চালানো হলে সেখানে ভুয়া চিকিৎসক মো. জিয়াকে না পেয়ে ওই হাসপাতালের পরিচালক মো. মনির হোসেনকে ১৫ হাজার টাকা অর্থদÐাদেশ প্রদান করে ভ্রাম্যমান আদালত।

এ বিষয়ে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্থাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলী হাসান জানান, কিনিকে ভুয়া ডাক্তার দিয়ে সিজারিয়ান অপরেশন করা দুঃখজনক ও ঝুঁকির ব্যাপার। এসব কিনিক ও কথিত চিকিৎসকদের যথাযথ অনুমোদ আছে কিনা আমার জানা নেই।

Sharing is caring!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

YouTube
error: Content is protected !!