মঠবাড়িয়ায় চিকিৎসকের অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ, থানায় মামলা
মঠবাড়িয়া নিউজ :
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় চিকিৎসকের অবহেলায় এক নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে মৃত নবজাতকের পিতা শাহিন মিয়া বাদী হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার চৌধুরী ফাতিমা কবিরকে প্রধান আসামি ও চিকিৎসকের সহযোগীকে অজ্ঞাত আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় নবজাতক ওই শিশুটি ত্রæটিপূর্ণ চিকিৎসায় মারা যায় বলে শিশুটির পরিবার দাবি করেছেন।
থনা ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানাগেছে, মৃত নবজাতক শিশুটির বাবা শাহিন মিয়ার বাড়ি আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের চরকগাছিয়া গ্রামে। তাঁর স্ত্রী সনিয়া আক্তার (২০) দশ মাসের অন্তঃসত্তা ছিলেন। শিশুটির মা স্থানীয় উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার চৌধুরী ফাতিমা কবিরের অধিনে চিকিৎসা চালিয়ে আসছিলেন। শুক্রবার সকাল দশটার দিকে প্রসবব্যাথা শুরু হলে স্বজনরা তাকে ওই চিকিৎসকের ব্যক্তিগত চেম্বারে নিয়ে আসেন। এসময় তার পরামর্শে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করান। শেষে তাঁর ব্যাক্তিগত ক্লিনিকে অপরেশন থিয়েটার না থাকা সত্বেও অতিরিক্ত অর্থ লাভের আশায় ওই প্রসূতি মাকে ভর্তি করান। সেখানে তিনি তার সহযোগী নার্সদের নিয়ে প্রায় দশ ঘন্টা স্বাভাবিক ডেলিভারির জন্য বিভিন্ন ঔষধ ও ইনজেকশন পুস করে কালক্ষেপন করেন। এতে ওই প্রসূতি মায়ের অবস্থা অবনতি ঘটলে অন্য ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেন ওই চিকিৎসক। পরবর্তীতে প্রসূতি মাকে পার্শবর্তী মাতৃ সদন ও স্বাস্থ্য সেবা ক্লিনিকে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাজু চন্দ্র সরকার সন্ধ্যা সিজারিয়ান অপরেশন করেন। এসময় শরীরের বিভিন্ন স্থানে থেতলানো পায়ের হাড় ভাঙ্গা একটি মূমুর্ষূ ছেলে শিশুর জন্ম হয়। পরে শিশিুটিকে মূমুর্ষূ অবস্থায় চিকিৎসকের পরামর্শে শহরের মা শিশু ও জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পথে সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটের সময় মারা যায়।
এ বিষয় চিকিৎসক চৌধুরী ফাতিমা কবির তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ওই অন্তঃসত্তা মহিলা গুরুতর অবস্থায় প্রসব বেদনা নিয়ে আসলে তাকে অন্য ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। অর্থিক সংকটের কারণে রোগীর স্বজনরা স্বাভাবিক ডেলিভারির জন্য জোর পূর্বক আমার চেম্বারে অপেক্ষা করতে থাকে। মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহা. নুরুল ইসলাম বাদল মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মামলাটি তদন্ত করে পরবর্তীব্যবস্থা নেয়া হবে।