মঠবাড়িয়ার সাফা কলেজ অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত করা সেই অফিস সহকারির গ্রেফতার দাবি
মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি :
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার সাফা ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বিনয় কৃষ্ণ বলকে জুতাপেটা করা সেই অভিযুক্ত নারী অফিস সহকারীর গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে উপজেলার সকল পর্যায়ের শিক্ষক সমাজ। শনিবার দুপুরে শহরের মহিউদ্দিন আহমেদ মহিলা ডিগ্রি কলেজ মিলনায়তনে শিক্ষক সমাজের ব্যানারে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। কলেজ শিক্ষক সমিতির মঠবাড়িয়া শাখার সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আজিম উল হক লিখিত বক্তব্যে বলেন, অফিস সহকারী ফরিদা ইয়াসমিন একজন অধ্যক্ষকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিতের কারণে ফৌজদারী অপরাধ করেছেন এবং সুস্পষ্টভাবে চাকুরি বিধি লঙ্ঘন করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন সরকারী হাতেম আলী বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ রহুল আমিন, সরকারী কলেজের প্রভাষক মোহসেনুল মান্না, মিরুখালী স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ আলমগীর হোসেন খান, সাফা ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক এ,কে সাকিল আহমেদ, ডাঃ রুস্তম আলী ফরাজী কলেজের প্রভাষক মোতালেব হোসেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ নাছির উদ্দিন, গুলিসাখালী জি.কে ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কমল চন্দ্র ও প্রাথমিক শিক্ষকদের পক্ষে প্রধান শিক্ষক বাবু সুমন্ত্র হাওলদার সুমন প্রমূখ।
পরে শিক্ষক নেতারা তাকে দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করে চাকুরী থেকে অব্যহতি দেওয়ার দাবি জানান। আগামী সোমবারের মধ্যে ফরিদা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেয়া হলে আন্দোলনের কর্মসূচির ঘোষণা দেয়ার হুমকি প্রদান করেন।
গত গত ১৬ আগস্ট কলেজের অফিস সহকারী ফরিদা ইয়াসমিন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে অফিস কক্ষে জুতাপেটা করে। পরে এঘটনার একটি ভিডিও যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। ঘটনার পরের দিন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বিনয় কৃষ্ণ বল বাদী হয়ে অফিস সহকারী ফরিদাকে আসামী করে থানায় একটি মামলা করেন।
এদিকে এ ঘটনা বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হলে শিক্ষামন্ত্রণালয় ও কলেজ কর্তৃপক্ষ পৃথক দু’টি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।
এ বিষয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) বশির আহমেদ জানান, ইতিমধ্যে অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রণালয় কর্তৃক তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। অভিযুক্ত অফিস সহকারির বিরুদ্দে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।