ঢাকায় স্বামীকে ইঁদুর মারার বিষ খাইয়ে হত্যা। স্ত্রীর দায় স্বীকার।
পাঁচ বছর আগে গাজীপুরের মেয়ে সুমিকে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন কামাল। এবং তাদের আড়াই বছর বয়সী একটা ছেলে আছে। নাম আবু সুফিয়ান হাশমী। কামাল বেশির ভাগ সময় বিদেশে থাকতেন। দুই-এক বছর পর পর দেশে এসে মাস দু-এক থেকে আবার সৌদি আরবে চলে যেতেন। এ সময় সুমির সঙ্গে এক যুবকের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই যুবক স্থানীয় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করেন।
কামাল বিদেশে থাকার সময় মোবাইল ফোনে কথা বলা বেড়ে যায় সুমির। প্রথম দিকে পরিবারের সন্দেহ না হলেও পরে তাঁদের সন্দেহ হয়, কার সঙ্গে এত কথা বলেন সুমি। পরে জানা যায়, স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা। এ ঘটনা জানানোর পর কামাল গত মে মাসে সৌদি আরব থেকে একেবারেই দেশে ফিরে আসে। কিন্তু তাতেও থামেনি সুমি। গোপনে গোপনে সম্পর্ক চালিয়ে যায় সুমি।
জানা যায় , সম্পর্কের বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর সুমি-কামালের দাম্পত্য কলহ চরম আকার ধারণ করে। দুজনের মধ্যে প্রায় ঝগড়াঝাঁটি হতো। সুমি প্রায়ই বলতেন, কামালকে হত্যা করবেন। নিজেও আত্মহত্যা করবেন।
সে রাতের ঘটনা :
রাতে সবাই মিলে একসঙ্গে সেদিন খাবার খান। খাওয়া শেষে সুমি কামালকে এক গ্লাস কোমল পানীয় দেন। কয়েক ঢোক খাওয়ার পর চিৎকার দিয়ে কামাল বলে ওঠেন, ‘সুমি তুমি কী খাওয়াইলা? বুক-পেট জ্বলে গেল?’ এ সময় কামালের মা সুমিকে বলেন, তাঁর ছেলেকে কোমল পানীয়ের সঙ্গে বিষ খাইয়েছে কি না? সুমি তখন কামালের কাছ থেকে গ্লাস কেড়ে নিয়ে নিজেও তা পান করেন। পরে গুরুতর অবস্থায় দুজনকেই নেওয়া হয় হাসপাতালে। সেই রাতেই কামাল মারা যান।
পুলিশ বলছে, আলামত হিসেবে কোমল পানীয়ের বোতল, কাচের গ্লাস ও স্টিলের একটি বাটি জব্দ করা হয়েছে। বাটিতে নীল রঙের তরল পদার্থ পাওয়া গেছে। গ্রেপ্তারের পরে আদালতে দেওয়া সুমির (২৪) স্বীকারোক্তিমূলক স্বীকার করেছেন, কোমল পানীয়তে ইঁদুর মারার বিষ মিশিয়ে তিনি তাকে খাইয়েছে । সুমি এখন কারাগারে।